খেলা
ওয়ার্নারের বল টেম্পারিংয়ের মাশুল দিলো অনাগত সন্তান!
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পারিবারিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই সহ-অধিনায়ক আরো বড় এক আঘাত পেয়েছেন। ওয়ার্নারের বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির মাশুল দিয়েছে তার অনাগত সন্তান। এমন তথ্য জানিয়েছেন ওয়ার্নারপত্নী ক্যানডিস ওয়ার্নার। তিনি জানান, গেল মার্চে ওয়ার্নারের অশ্রুসিক্ত সংবাদ সম্মেলনের সপ্তাহ খানেক পরই তার গর্ভপাত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউনে বল টেম্পারিং কাণ্ডের পরই তিন ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দেশে ফিরিয়ে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এ সময় ওয়ার্নারের সঙ্গেই ছিলেন তার স্ত্রী। ক্যানডিস জানান, সে সময় প্রবল মানসিক চাপ ও কষ্টসাধ্য বিমানভ্রমণের জন্যই তার এই গর্ভপাত ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার এক নারী সাময়িকীকে ক্যানডিস বলেন, ‘ডেভকে (ওয়ার্নার) ডেকে জানাই আমার রক্ত ঝরছে। আমরা জানতাম গর্ভপাত ঘটছে। একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে দুইজনই কেঁদেছি। এই গর্ভপাতটা আসলে একটি ভয়ঙ্কর সফরের মর্মান্তিক সমাপ্তি।’ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্মিথ ও ব্যানক্রফটদের সঙ্গেই দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু তাদের দু’জনকে আলাদা ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হয়। ওয়ার্নার ও তার পরিবারকে পাঠানো হয় আরেকটি ফ্লাইটে, যেটা ছিল লম্বা সময়ব্যাপী এবং কষ্টকর। ওয়ার্নারপত্নী আরো বলেন, ‘আমরা বেশ কষ্টকর ও সবচেয়ে দীর্ঘ ফ্লাইটে এসেছি। কেউ জানত না আমি অন্তঃসত্ত্বা। ডেভ আমাকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব চেষ্টা করেছে। আমাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছিল, বিমানবন্দর থেকে আমরা নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু গণমাধ্যমকে দেখার পর ভীষণ ভেঙে পড়ি, বিশেষ করে ২৩ ঘণ্টা ফ্লাইটের পর। বিশ্ব তো আর জানত না যে, আমি তৃতীয় বাচ্চা বহন করছি।’ অস্ট্রেলিয়ার ওই সাময়িকীকে ক্যানডিস আরো বলেন, ‘বল টেম্পারিং নিয়ে নানা অপমানজনক কথা সহ্য করার পরীক্ষা দিতে গিয়ে এই খেসারত গুনতে হয়েছে। ওই মুহূর্ত থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আর কখনো কোনো ঘটনার প্রভাব এভাবে আমাদের জীবনে পড়তে দেবো না।’