অনলাইন

প্রেমে বাধা দেয়াই কাল হলো মেহেদীর

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) থেকে

২৪ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

প্রেমে বাধা দেয়াই কাল হলো মেহেদী হাসানের। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া মেহেদীকে তার বন্ধুর হাতেই জীবন দিতে হলো। অপহরণ করে হত্যার দুইমাস ১৮ দিন পর মেহেদী হাসানের মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বুধবার রাতে উপজেলার পলাশীহাটা বাজারে উজ্জলের পরিত্যাক্ত গুদাম ঘরের মেঝের মাটি খুড়ে মেহেদী হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো আশিকুর রহমান বুধবার রাতে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার বিকালে ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার থেকে মেহেদী হাসান হত্যার আসামী আল আমীন (২২) ও তুষার (২৩) এবং রাতে তুষারের বড়ভাই উজ্জলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমে বাধা হয়ে দাড়ানোয় মেহেদীকে হত্যার পর লাশ গুম করতে মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করে আল আমিন ও তুষার। পরে রাত বারটায় গ্রেফতারকৃতদের সাথে নিয়ে পলাশীহাটা বাজারে তুষারের বড়ভাই উজ্জলের পরিত্যক্ত গুদাম ঘরের মেঝে খুড়ে পুলিশ মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
৬ মার্চ এস এসএসসি পরীক্ষা শেষে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলে মেহেদী আর বাড়িতে ফেরেনি। গ্রেফতার দুই যুবক মেহেদীর বন্ধু এবং একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর মেহেদী হত্যা ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার অভিযান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তদারকি করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এ নেওয়াজী ও কোতুয়ালি মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন।

 এ ছাড়াও গোয়েন্দা  পুলিশের ওসি মো: আশিকুর  রহমান, এসআই ফারুক হোসেন, এস আই পরিমল চন্দ্র দাস সহ বিপুল সংক্ষক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

অপহরেনর পরে মেহেদীর মোবাইল থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে মা মিনারার মোবাইলে এসএমএস দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয় অপহরনকারীরা। ১২ মার্চ মেহেদীর মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেহেদী অপহরনের জট খুলতে মামলা তদন্তভার দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। গোয়েন্দা পুলিশ  সন্দেহবশত  পার্শ্ববর্তী গ্রামের গফুরের ছেলে তুষারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজতে পাঠায়।
মেহেদী উপজেলার পলাশীহাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২০১৭ সনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। অন্যদিকে হত্যাকারী তুষার একই কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং আল-আমিনও একই কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তারা দু’জনই পলাশীহাটা দাখিল মাদ্রাসা হতে দাখিল পাশ করে এ স্কুল ও কলেজে ভর্তি হয় বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মেহেদী হাসানের সন্ধান দাবীতে স্কুল পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক, সহপাঠি, ও স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status