বাংলারজমিন
উলিপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
উলিপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকগণ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ১৪ই মে অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মাদারটারী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবার রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুল বাতেন, গোলজার হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও ইব্রাহিম আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। সহোদর দেলোয়ার হোসেনকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎসহ, বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সৌর প্যানেল নিজ বাড়িতে ব্যবহার এবং শ্রেণি কক্ষে চাষাবাদের ধান, খর রেখে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফলে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। ওই শিক্ষকের দ্রুত অন্যত্র বদলি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান তারা।
মাদারটারী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কি উন্নয়ন করেছেন জানতে চাইলে সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে এসে দেখলে তা বুঝবেন। বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সোলারটি নিজ বাড়িতে ব্যবহারের কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, চুরি যাওয়ার ভয়ে নিজ বাড়িতে লাগিয়েছি। তিনি স্বীকার করেন তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সত্যতা তো আছেই এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যই সুপারিশ করা হয়েছে।
মাদারটারী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কি উন্নয়ন করেছেন জানতে চাইলে সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে এসে দেখলে তা বুঝবেন। বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সোলারটি নিজ বাড়িতে ব্যবহারের কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, চুরি যাওয়ার ভয়ে নিজ বাড়িতে লাগিয়েছি। তিনি স্বীকার করেন তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সত্যতা তো আছেই এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যই সুপারিশ করা হয়েছে।