দেশ বিদেশ
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সহযোগিতা কামনা বিড়িশিল্প মালিকদের
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
প্রতি হাজার বিড়িতে প্রায় ১৮ গুণ শুল্ক কমানোসহ বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়িশিল্প মালিক সমিতি। রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি উত্থাপন করেন সমিতির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বাংলাদেশ বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সমন্বয়কারী আলী সাদাত খান উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৈঠকে বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও বরিশালের কারিকর বিড়ির চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ দে, বিড়িশিল্প মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর হারাগাছার মায়া বিড়ি ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সদস্য ও সিরাজগঞ্জের কিসমত বিড়ি ফ্যাক্টরির পরিচালক উদয় শংকর সাহা, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির মহাব্যবস্থাপক ও মালিক প্রতিনিধি কাজী আনোয়ারুল ইসলাম। বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি ও বগুড়ার শরীফ বিড়ি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রানা হোসেন, বিড়ি শিল্পমালিক সমিতির সদস্য ও সিরাজগঞ্জের সামাদ বিড়ি ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইউসুফ আলী আকন্দ, রংপুরের গফুর বিড়ি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের হোসেন, পাবনার বাংলা বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক প্রতিনিধি হেরিক হোসেনসহ সারা দেশের বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক-প্রতিনিধিদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। সভা শেষে আকিজ বিড়ির প্রতিনিধি কাজী আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি প্রস্তাব বিবেচনায় অর্থমন্ত্রীর কাছে ভারতের মতো বাংলাদেশের বিড়িশিল্পে শুল্ক নির্ধারণের দাবি তোলা হয়েছে। প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে, যা বর্তমানে ২৫২ টাকা পঞ্চাশ পয়সা রয়েছে। এছাড়া যেসব কারখানায় ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন হয় তাদের শুল্ক না নেয়ারও দাবি করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী এসব দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিড়িশিল্প মালিক সমিতির নেতারা। এর আগে গত ৩১শে মার্চ অর্থমন্ত্রী তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ২ বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প এবং ২২ বছরের মধ্যে সিগারেট শিল্প তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবে বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষি, বিড়ি ব্যবসায়ী ও বিড়ি ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা এর প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই সঙ্গে বিড়িশিল্পকে রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে সাড়ে ৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ, মানববন্ধনের মতো নানা কর্মসূচি। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বিড়ি শ্রমিক ও ভোক্তারা বলছেন, সিগারেট চালু রেখে কোনোভাবেই বিড়ি বন্ধ করতে দেয়া হবে না। কারণ, বিড়িশিল্পের সঙ্গে হতদরিদ্র ও নিম্নশ্রেণির মানুষ জড়িত। নদীভাঙা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীশ্রমিকরা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটি বন্ধ করে দেয়া হলে এসব ভাগ্যহত মানুষের জীবনে চরম দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসবে। বিজ্ঞপ্তি
অর্থমন্ত্রী এসব দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিড়িশিল্প মালিক সমিতির নেতারা। এর আগে গত ৩১শে মার্চ অর্থমন্ত্রী তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ২ বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প এবং ২২ বছরের মধ্যে সিগারেট শিল্প তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবে বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষি, বিড়ি ব্যবসায়ী ও বিড়ি ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা এর প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই সঙ্গে বিড়িশিল্পকে রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে সাড়ে ৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ, মানববন্ধনের মতো নানা কর্মসূচি। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বিড়ি শ্রমিক ও ভোক্তারা বলছেন, সিগারেট চালু রেখে কোনোভাবেই বিড়ি বন্ধ করতে দেয়া হবে না। কারণ, বিড়িশিল্পের সঙ্গে হতদরিদ্র ও নিম্নশ্রেণির মানুষ জড়িত। নদীভাঙা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীশ্রমিকরা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটি বন্ধ করে দেয়া হলে এসব ভাগ্যহত মানুষের জীবনে চরম দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসবে। বিজ্ঞপ্তি