শেষের পাতা

নির্বাচনী ট্রেন কারো জন্য বসে থাকে না

স্টাফ রিপোর্টার

২১ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন হবে এবং গণতন্ত্রের  ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনে যাবেন না, না গেলে না যান, কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ঠিকই নির্বাচন হবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, কিন্তু না নিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। মন্ত্রী বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ফাঁদ তৈরি করেছিল। এবার আর কেউ বিএনপির পাতা সেই ফাঁদে পা দেবে না। গতকাল মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ চায় না। তারা চায় জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয়তাবাদী বিচার বিভাগ। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনের আগেই বিএনপিকে বিজয়ী করার গ্যারান্টি এবং আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে বিএনপির নেতা নেত্রীদের মুক্তি চায়। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তাদের এ ধরনের দাবি কখনো পূরণ হবে না। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনিকে স্বীকার করে না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে আখ্যা দেয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্ভব নয়। সুশীল সমাজের কতিপয় সদস্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দেন। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান, ঐক্যের কথা বলেন।

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে আলোচনায় খালেদা জিয়া সাড়া দিলে আজ ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নবতর সূচনা হতো। বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পারলে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করুক। অনেকে আশা করেছিল খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর আন্দোলন হবে। কিন্তু তিনি (খালেদা) জেলে যাওয়ার পর আন্দোলনে সাগরের গর্জনতো দূরের কথা নদীর ঢেউ পর্যন্তও দেখা গেল না। নয় বছরে যারা আন্দোলন করতে পারেনি, ছয় মাসে আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, আন্দোলন করতে যে নৈতিক সাহস ও সততার প্রয়োজন তা বিএনপির মধ্যে নেই। এই সততা ও সাহস রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের মধ্যে। আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, শহীদ সেরনিয়াবাত, মাহবুবুর রহমান হিরণ, মো. ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক রেজা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status