বাংলারজমিন

প্রেমিকের হাত ধরে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

২১ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী আরমান হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রেমিক পাপ্পুর হাত ধরে পালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রাবাসীর পিতা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা  মো. সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. আরমান হোসেনের সঙ্গে রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের আহম্মদ উল্যাহর মেয়ে রাবেয়া আক্তার সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমিকে নিজ বাড়িতে রেখে আরমান হোসেন আবার কর্মস্থল সৌদি আরবে চলে যান। এরপর রাবেয়া আক্তার সুমি পড়ালেখা করার আগ্রহ  প্রকাশ করলে তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি করা হয়। এরপর সুন্দর চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু কলেজে আসা-যাওয়ার পথে সুমির সঙ্গে আরমান হোসেন পাপ্পু নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুরু হয় দুইজনের মন দেয়া নেয়া। কিন্তু সব কিছু গোপন রেখে সুমি কৌশলে স্বামী আরমান হোসেনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা আদায় করে নিতো। এর মাঝে ২০১৬ সালে সুমিকে সৌদি আরবে নিজের কাছে নিয়ে যায় আরমান। সৌদি আরবে গিয়েও সুমি প্রেমিক পাপ্পুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখত। স্বামী আরমান এ বিষয় কিছুই জানত না। সুমি স্বামীর কাছে ৬ মাস সৌদিতে থেকে পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে পুনরায় স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। এরপর কয়েক মাস স্বামীর বাড়িতে থেকে সুমি লক্ষ্মীপুর শহরের গণকবর এলাকায় বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে যায়। বাবা লক্ষ্মীপুর ইসলামি ফাউন্ডশনে চাকরি করার সুবাধে এ বাসায় থাকত বেশি। ১৪ই মে পুনরায় সৌদি আরবে স্বামীর কাছে যাওয়ার কথা ছিল সুমির। বিমানের টিকিট থেকে শুরু করে সৌদিতে যাওয়ার জন্য সব কিছুই ছিল ঠিকঠাক। সৌদি আরবের একটি বিমানবন্দরে স্ত্রীকে রিসিভ করার জন্য প্রস্তুত ছিল স্বামী আরমান হোসেন। কিন্তু বিমান ঠিকই গেছে, যাওয়া হয়নি সুমির। এর আগে প্রেমিক আরমান হোসেন হাওলাদার পাপ্পুর হাত ধরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় সুমি।
এদিকে সৌদি প্রবাসী আরমান টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমি ও তার শ্বশুরকে বিশ্বাস করে বিদেশে উপার্জিত টাকা পয়সা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠাত। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। সারা জীবনের সঞ্চয়কৃত টাকা-পয়সা নিয়ে সে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে রাবেয়া আক্তার সুমির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status