বাংলারজমিন

সুন্দরবনে ৩ জেলের নামে মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা সন্ত্রাসীদের কোস্টগার্ডকে ধরিয়ে দেয়ার অপরাধে বিষ সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়েছেন শরণখোলার নিরীহ তিন জেলে। চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হয়েছে তিন জেলের বিরুদ্ধে। সুন্দরবনের বনদস্যু ও বিষ সন্ত্রাসীদের গডফাদার রুস্তম আলী বয়াতী (৫৮) নিরীহ জেলেদের হয়রানির নেপথ্যে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সুন্দরবনের বিষ পার্টির মহাজন মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া গ্রামের  কেএম জাহঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ১৩ই মে রাতে শরণখোলা থানায় ওই তিন জেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের নুর ইসলাম আকনের ছেলে ইউসুফ আকন (৪৫), মানিক আকনের ছেলে সোহেল আকন (২০) ও আ. আজিজ খানের ছেলে নাছির খান (২৫) গত ১১ই মে বিকাল ৪টার দিকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের কেঁচুয়ার খালে মাছ ধরছিলেন।
এ সময় তারা ওই খালে একদল জেলেকে বিষ দিয়ে মাছ ধরতে দেখে সুপতি স্টেশনের কোস্টগার্ড সদস্যদের জানান। কোস্টগার্ড সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারসহ বিষ দিয়ে ধরা ৮০ কেজি চিংড়ি মাছ, সাত বোতল রিফকড কীটনাশক জব্দ করেন। এ সময় ট্রলারে থাকা বিষ পার্টির তিন সদস্য দিপক, নজরুল ও হাসান নদীতে লাফিয়ে পড়ে সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানায়, সুন্দরবনের বনদস্যু ও বিষ পার্টির গডফাদার শরণখোলার জলেরঘাট গ্রামের মৃত চাঁন বয়াতীর ছেলে মো. রুস্তম আলী বয়াতী নিরীহ জেলেদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানির নেপথ্যে রয়েছেন। মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, জেলে ইউসুফ, সোহেল ও নাছিরের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ওইদিন অভিযান চালিয়ে কীটনাশক ও বিষ দিয়ে ধরা চিংড়িসহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। তবে, বিষ পার্টির সদস্যরা সুন্দরবনে পালিয়ে যাওয়া তাদের আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা দিয়ে জব্দকৃত আলামত সুন্দরবন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুন্দরবনের বিষ সন্ত্রাসীদের হাতে নিরীহ জেলেরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য পাঠিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী কেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার (০১৭১২০৭৭৪৬৮) মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবিরুল ইসলাম জানান, তিন জেলের বিরুদ্ধে শরণখোলায় চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status