বাংলারজমিন
ছেলের মারধর সইতে না পেরে থানায় মা
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
‘লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়েছি তবুও ছেলেকে একটু কষ্ট বুঝতে দিইনি। আজ সেই ছেলে আমাকে কথায় কথায় মারধর করে। খেতে দেয় না, সামান্য ব্যাপারে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়, আমার আর বাঁচার কোনো ইচ্ছা নেই, আপনারা আমাকে একটু বিষ কিনে দেন।’
এভাবে ছেলের নির্যাতনে বিলাপ করছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নালুয়া গ্রামের মৃত উকিল উদ্দিন তরফদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬০)। গতকাল দুপুরে তিনি থানায় এসে ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতা মা আলেয়ো বেগমের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে তার স্বামী উকিল উদ্দিন তরফদার মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর লোকের বাড়িতে কাজ করে তার একমাত্র ছেলে সুজনকে বড় করে তোলেন। এখনো অসুস্থ শরীর নিয়ে মাঝেমধ্যে লোকের বাড়িতে কাজে যান। বাইরে থেকে যা কিছু রোজগার করেন সবই ছেলের হাতে তুলে দেন তিনি। এ অবস্থায় বৃদ্ধা আলেয়া বেগম বর্তমানে অসুস্থ থাকায় তিনি কাজে যেতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে ছেলে তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। গতকাল সকালে সুজন তার মা আলেয়া বেগমের কাছে টাকা চাইলে সেটি দিতে না পারায় বেদম মারধর করে। ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি থানায় এসে গতকাল ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সময় আলেয়া বেগম আরো জানান, ছেলে তাকে সামান্য ব্যাপারে গায়ে হাত তোলে। সারা রাত বাইরে থেকে জুয়া খেলে ঘরে ফেরে।
প্রতিদিন তাকে টাকা দিতে না পারলে এভাবে তাকে মারপিট করে। এখন ধৈর্যের আর বাঁধ মানে না। নিরুপায় হয়ে থানায় এসেছি। এ সময় উপস্থিত লোকজনকে তিনি জানান, আপনারা আমাকে একটু বিষ কিনে দেন। আমি আর ঘরে ফিরতে চাই না। বাড়িতে গেলে যদি ছেলে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি তাহলে আমাকে আর জ্যান্ত রাখবে না। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ওসি অনুকূল সরকার জানান, আলেয়া বেগমের কাছ থেকে তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
এভাবে ছেলের নির্যাতনে বিলাপ করছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নালুয়া গ্রামের মৃত উকিল উদ্দিন তরফদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬০)। গতকাল দুপুরে তিনি থানায় এসে ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতা মা আলেয়ো বেগমের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে তার স্বামী উকিল উদ্দিন তরফদার মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর লোকের বাড়িতে কাজ করে তার একমাত্র ছেলে সুজনকে বড় করে তোলেন। এখনো অসুস্থ শরীর নিয়ে মাঝেমধ্যে লোকের বাড়িতে কাজে যান। বাইরে থেকে যা কিছু রোজগার করেন সবই ছেলের হাতে তুলে দেন তিনি। এ অবস্থায় বৃদ্ধা আলেয়া বেগম বর্তমানে অসুস্থ থাকায় তিনি কাজে যেতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে ছেলে তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। গতকাল সকালে সুজন তার মা আলেয়া বেগমের কাছে টাকা চাইলে সেটি দিতে না পারায় বেদম মারধর করে। ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি থানায় এসে গতকাল ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সময় আলেয়া বেগম আরো জানান, ছেলে তাকে সামান্য ব্যাপারে গায়ে হাত তোলে। সারা রাত বাইরে থেকে জুয়া খেলে ঘরে ফেরে।
প্রতিদিন তাকে টাকা দিতে না পারলে এভাবে তাকে মারপিট করে। এখন ধৈর্যের আর বাঁধ মানে না। নিরুপায় হয়ে থানায় এসেছি। এ সময় উপস্থিত লোকজনকে তিনি জানান, আপনারা আমাকে একটু বিষ কিনে দেন। আমি আর ঘরে ফিরতে চাই না। বাড়িতে গেলে যদি ছেলে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি তাহলে আমাকে আর জ্যান্ত রাখবে না। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ওসি অনুকূল সরকার জানান, আলেয়া বেগমের কাছ থেকে তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।