বাংলারজমিন
৪০ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক চক্র উধাও
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
কার হাতে নেই মোবাইল ফোন। অত্যাবশ্যকীয় অতি প্রয়োজনীয় আর সহজলভ্য হবার কারণে মোবাইল ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। তাই মানুষের সেই আগ্রহকে পুঁজি করে সিরাজগঞ্জে আউট সোর্সিং ব্যবসা ‘টাচ আর্ন’ নামে একটি ওয়েবসাইট ডিজিটাল প্রতারণা করে গ্রাহকের প্রায় ৪০ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে উদ্যোক্তারা। এজন্য এর সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪৩ হাজার গ্রাহক এখন হতাশায় নিমজ্জিত। সবাই বিনিয়োগের টাকা ফেরত পেতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। অথচ কিছুদিন আগেও মোবাইল ফোনে এই ওয়েবসাইটে ৬ হাজার ৪শ’ টাকায় আইডি খুলে প্রতিদিন ৭/৮ মিনিট কাজ করেই আয় হতো ২ ডলার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকা। তাই বিষয়টি স্কুল, কলেজ পড়ুয়া বেকার যুবকদের মতো টাকা আয়ের এই সহজ পথে হেঁটেছিল সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর ও বেলকুচি থানাসহ অন্যান্য জেলার মানুষরা। প্রথম দিকে কৌশলী প্রতারক চক্র ডলার আয়ের লোক দেখানো সুবিধা দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও হঠাৎ গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে গত ৯ই মে ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে পালিয়েছে। এরপর থেকে প্রতারিত গ্রাহকরা ৫ উদ্যোক্তাসহ তাদের অর্ধশতাধিক সহযোগীর আর খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে পুলিশ বলেছে, গণপ্রতারিত সরলপ্রাণ মানুষগুলো অভিযোগ দিলেই নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা। এনায়েতপুর থানার গোপিনাথপুর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রবিউল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, ১০ম শ্রেণীর ছাত্র শামীম হোসেন, তাঁত শ্রমিক ইব্রাহীম হোসেন, খোকশাবাড়ি গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র শরিফুল ইসলাম, রুপসী গ্রামের আব্দুল কাদের, শিবপুরের শাহীন, গোপালপুরের আলী আকবার, বেলকুচির তামাইয়ের রনি তালুকদার এবং বেলকুচি, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ দেশের হাজার-হাজার তরুণের মাঝে এখন শুধুই হতাশা। ‘টাচ আর্ন’ নামে একটি ওয়েবসাইট ডিজিটাল প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন উধাও। তাদের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল িি.িঃড়ঁপযবধৎহ.ড়ৎম এই ওয়েবসাইটে ৬ হাজার ৪শ’ টাকায় আইডি খুলে ৭/৮ মিনিট এন্ড্রোয়েড মোবাইলে কিছু বিজ্ঞাপন চিত্র দেখলেই দৈনিক ২ ডলার করে নিজের আইডিতে জমা হতো। আর এভাবে তা ২৫ ডলারে পরিণত হলে এর সমপরিমাণ টাকা প্রতারকরা দিয়ে দিত। প্রথম দিকে লেনদেন যথানিয়মে চললেও হঠাৎ করে গত ৯ই মে তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪৩ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ৪০ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওয়েব সাইটটির ৬ জন শীর্ষ অ্যাডমিন। বিষয়টি নিয়ে এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানায়, আমার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ নিয়মিত অভিজান চালাচ্ছে ।