বাংলারজমিন
অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছে না জাহিদ
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে অসহায় দরিদ্র এক রিকশাচালকের ছেলে জাহিদ হাসান এবার এসএসসিতে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। কলেজে ভর্তি হতে ওই ছাত্র সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াচ্ছে। এর আগে সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায়ও সকল বিষয়ে এ+সহ জিপিএ-৫ পেয়েছিল। জাহিদ হাসান ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ রঘুনাঘপুর গ্রামের রিকশাচালক শাজাহান আলীর ছেলে। মা জাহানারা বেগম পেশায় একজন গৃহিণী। জিপিএ ৫ পেয়েও পড়েছে দুশ্চিন্তায়। জাহিদ কিভাবে কলেজে ভর্তি হবে এ নিয়ে ভাবছে, তার বাবা বলছে কলেজে পড়ানোর মতো সামর্থ্য নেই। তাকে কলেজে ভর্তি করলে বই ও জামা কাপড় কিনতে প্রায় ১২ হাজার লাগবে। কিন্তু বাবার সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে ছেলের লেখাপড়া করানো সম্ভব হচ্ছে না। জাহিদ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এই সাফল্য অর্জন করেছে। সে এই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সকল বিষয়ে এ+সহ জিপিএ-৫ পেয়েছে। জাহিদের বাবা শাহাজাহান আলী জানান, আমি নিজে একজন রিকশাচালক। প্রতিদিন যশোর গিয়ে মালিকের রিকশা চালাই। প্রতিদিন মালিকের ভাড়ার টাকা দিয়ে যা থাকে তা দিয়ে কোন রকম পরিবার নিয়ে বেচে আছি। মাঠে কোনো জমি নেই আছে মাত্র ৫ শতক জমি, সে জমির পাশে রয়েছে একটি কুঁড়েঘর। জাহিদের মা বলছেন, তার ২ ছেলে ১ মেয়েসহ ৫ সদস্যর পরিবার। ছেলের বাবা যা আয় করে তা দিয়ে ৩ বেলা সন্তানদের মুখে খাবারই জোটে না। ফলে ছেলেকে এখন কলেজে ভর্তি করতে টাকা, বই ও জামা কাপড় লাগবে। এতে করে প্রায় ১২ হাজার টাকা ব্যায় হবে। এ টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। যে কারণে ছেলে জাহিদের লেখাপড়া এখন অনিশ্চিত পর্যায় চলে গেছে। তবু ও জাহিদ লেখাপড়া ধরে রাখতে চায়, ভর্তির টাকা জোগাড় করতে সে এখন গ্রামে গ্রামে প্রাইভেট পড়াছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান জানান, জাহিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভালো ছিল।