বাংলারজমিন
সমস্যায় জর্জরিত হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
এম সাইফুজ্জামান তাজু, হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে
২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
ডাক্তার-কর্মচারী সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩০ জন ডাক্তারের মধ্যে মাত্র ৬ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাসেবা। ফলে প্রতিনিয়তই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৫ সালের ১৭ই মে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আজও পরিপূর্ণ সুযোগ সুবিধার ছোঁয়া লাগেনি সেখানে। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র ৬ জন চিকিৎসক চলছে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি। ১০ জন কনসালটেন্ট ডাক্তারের স্থলে কর্মরত মাত্র ১ জন। উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় মাত্র ৬ জন চিকিৎসক নিতান্তই অপ্রতুল। এছাড়াও হাসপাতালটির গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সহকারীর ২৯টি পদের বিপরীতে ২১ জন কর্মরত থাকলেও এর মধ্যে ৬ জন এসআইটি কোর্সে ঝিনাইদহে অধ্যয়নরত। ৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে কর্মরত আছে মাত্র ২ জন। ফলে প্রতিনিয়তই উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও হাসপাতালটিতে রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যা। হাসপাতালটির সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গাচুরা থাকায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় হাসপাতাল চত্বর। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে এখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এর পরও রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে সাধারণ মানুষের গরু ছাগল চরানো ও বখাটের উপদ্রব এসব সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা, আরএমওসহ ৫ জন চিকিৎসকের দিন রাত নিরলস পরিশ্রমে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা চললেও এ যেন নিতান্তই অপ্রতুল। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ জানান, ডাক্তার সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও ফল হয় না। মাঝে মাঝে কিছু চিকিৎসক দেওয়া হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই মফস্বল এলাকা হওয়ার কারণে তারাও তদবির করে বদলি হয়ে চলে যান অন্যত্র। উপজেলার ৪ লাখ সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানাবিধ সমস্যা কাটিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় ঘুরে দাঁড়াবে আবারও। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধানকল্পে সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।