বিশ্বজমিন
প্রিন্স হ্যারি-মেগান মার্কেলের বিয়ে আজ, বিশ্বজুড়ে তোলপাড়
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ মে ২০১৮, শনিবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
প্রিন্সেস ডায়ানা নেই। তিনি থাকলে হয়তো আজ সব থেকে বেশি খুশি হতেন। নিজ হাতে ছোটছেলে প্রিন্স হ্যারির নববধূকে বরণ করে নিতেন। বিশ্ব তাকিয়ে দেখতো সেই দৃশ্য। কিন্তু ডায়ানা বিগত হয়েছেন সেই ১৯৯৭ সালে। আজ তার অনুপস্থিতিতে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তারই দুই ছেলের সবচেয়ে ছোটটি প্রিন্স হ্যারি। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভির পর্দায় আঁঠার মতো লেগে থাকবেন, বিশেষ করে বৃটিশরা। এত সব ভক্তের মাঝেও প্রিন্স হ্যারির মনের ভিতরে ক্যান্সারের মতো এসে খোঁচা দিতে পারে প্রিয় মায়ের মুখ। তিনি হয়তো আনন্দের আতিশয্যে ভেসে থাকবেন। কিন্তু তার মনের গভীরে বার বার ভেসে উঠবেন মা প্রিন্সেস ডায়ানা। সেই ক্ষত বুকে ধরে আজ বৃটেনের সময় দুপুরে উইন্ডসর ক্যাসেলে অবস্থিত সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। বিয়ের পর তারা একটি সুসজ্জিত গাড়িতে করে শহর প্রদক্ষিণ করবেন। এসব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে গত রাত থেকেই উইন্ডসরের রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। সবচেয়ে ভালভাবে দেখা যাবে এমন স্থানটি নিশ্চিত করতে তারা রাতেই জায়গা দখল করেন। কেউ কেউ পুরো রাতই কাটিয়ে দেন রাস্তায়। এত্ত এত্ত মানুষের সমাবেশ থাকলেও যে মেগান মার্কেলের বিয়ে তার পিতা থমাস কিন্তু বিয়েতে থাকছেন অনুপস্থিত। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই বিয়ের আসরে মেগান মার্কেলকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসবেন প্রিন্স হ্যারির পিতা প্রিন্স চার্লস। বিয়ে করার আগে উইন্ডসরে সমবেত লোকজনকে প্রিন্স হ্যারি আশার বাণী শুনিয়েছেন। বলেছেন, তিনি একেবারে রিলাক্সড। অর্থাৎ তিনি শান্ত আছেন। অন্যদিকে মেগান মার্কেল বলেছেন ওয়ান্ডারফুল অনুভুতি কাজ করছে তার মধ্যে। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো মুহুমূহু ব্রেকিং খবর দিচ্ছে। বেশির ভাগই সব খবর নামিয়ে প্রধান সংবাদ শিরোনাম করেছে এ নিয়ে। রাজপরিবার বিষয়ক বিবিসির সাংবাদিক জোনি ডায়মন্ড বলছেন, রাজপরিবারের প্রতিটি বিয়েই আলাদা। তবে প্রতিটি বিয়েই একটি সম্ভাবনা নিয়ে আসে কোনো না কোনোভাবে। এর মধ্য দিয়ে রাজপরিবার যে নতুন করে যাত্রা করে। তবে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের মধ্যে যে বিয়ে হতে যাচ্ছে তাকে ‘বিগ ওয়েডিং’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনটা খুব কমই ঘটে। এ বিয়ে যেন বৈশ্বিক রূপ পেয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।