প্রথম পাতা
ভোটে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৮ মে ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে- এমন ভোট হওয়া প্রয়োজন যাতে দেশের মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটে। ঢাকা সফররত মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র প্রশাসক মার্ক গ্রিন গতকাল সকালে এক গোলটেবিল বৈঠকে খোলাখুলিভাবে এসব কথা বলেন। আমেরিকান ক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সাংবাদিকরাও আমন্ত্রিত ছিলেন। বৈঠকে মার্কিন প্রশাসক বলেন- বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের যথার্থ বা কার্যকর বন্ধু। এ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে পারস্পরিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে। এখানে আমরা একে অন্যের সঙ্গে খোলাখুলি এবং সততার সঙ্গে কথা বলছি। মার্ক গ্রিন বলেন- অভিজ্ঞতা বলছে, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ও সফল অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্রিয়াশীল গণতান্ত্রিক সুশাসন অপূরণীয় উপাদান। বাংলাদেশে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান আটক অভিযান (অনগোয়িং অ্যারেস্ট), বিচারবহির্ভূতভাবে হয়রানি এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মার্কিন ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন- এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধুরা উদ্বিগ্ন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন। জানান, এ সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বিদ্যমান সংকট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের আরো বেশি মনোনিবেশ করার ওপর জোর দেন। গত ১৩ই মে মার্ক বাংলাদেশে আসেন। তিনি এরইমধ্যে সরজমিন রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে এসেছেন। ক্যাম্প এলাকায় গিয়ে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত ৪৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণাও দিয়েছেন। ওদিকে বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকেও বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রশাসক। মার্কিন দূতাবাস গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে প্রশাসকের বৈঠকে বিস্তারিত প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রশাসক। তিনি এ-ও আশা প্রকাশ করেছেন যে, ওই নির্বাচনে দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বুধবার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে ওই বৈঠক হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদারভিত্তিতে হওয়ার জন্য জোর দেন ইউএসআইডি প্রশাসক মার্ক গ্রিন। রোহিঙ্গাদের জন্য ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিবের সঙ্গে আলাপে ২০১৬ সালে কলাবাগানের নিজ বাসায় বন্ধুসহ খুন হওয়া ইউএসএইড কর্মী জুলহাস মান্নানের বিচারের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চান প্রশাসক মার্ক গ্রিন। বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে তাগিদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: ওদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্র তাগিদ দেবে বলে জানিয়েছেন ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক গ্রিন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি সেখানকার সমাজের বৈষম্য সমস্যা সমাধানের জন্য। যেটি সব সমস্যার মূল কারণ। আমি মিয়ানমারে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে তাদের বলবো তারা যেন তাদের কাজটি করেন।’ বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকান ক্লাবে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মার্ক অ্যান্ড্রু গ্রিন ১৪ই মে বাংলাদেশে আসেন। ১৫ই মে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। আজই (গতকাল বৃহস্পতিবার) তিনি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন আসা কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে তাদের সঙ্গে ভয়াবহ ঘটনা ঘটার কথা শুনেছি। তারা সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে এই সংকট মোকাবিলার ?জন্য।’ ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক অ্যান্ডু গ্রিন বলেন, ‘শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, রাখাইনসহ অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা বন্ধ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করাসহ অন্যান্য বিষয়াদি মিয়ানমার সরকারকে করতে হবে।’ আগস্ট থেকে মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মোট দুইশ’ সাত মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গা বাবদ সহায়তা করেছে। বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আলোচনার বিভিন্ন পর্বে মার্ক গ্রিন বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের সব সূচকে ভালোভাবে সক্ষমতা অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে তাগিদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: ওদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্র তাগিদ দেবে বলে জানিয়েছেন ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক গ্রিন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি সেখানকার সমাজের বৈষম্য সমস্যা সমাধানের জন্য। যেটি সব সমস্যার মূল কারণ। আমি মিয়ানমারে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে তাদের বলবো তারা যেন তাদের কাজটি করেন।’ বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকান ক্লাবে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মার্ক অ্যান্ড্রু গ্রিন ১৪ই মে বাংলাদেশে আসেন। ১৫ই মে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। আজই (গতকাল বৃহস্পতিবার) তিনি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন আসা কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে তাদের সঙ্গে ভয়াবহ ঘটনা ঘটার কথা শুনেছি। তারা সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে এই সংকট মোকাবিলার ?জন্য।’ ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক অ্যান্ডু গ্রিন বলেন, ‘শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, রাখাইনসহ অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা বন্ধ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করাসহ অন্যান্য বিষয়াদি মিয়ানমার সরকারকে করতে হবে।’ আগস্ট থেকে মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মোট দুইশ’ সাত মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গা বাবদ সহায়তা করেছে। বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আলোচনার বিভিন্ন পর্বে মার্ক গ্রিন বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের সব সূচকে ভালোভাবে সক্ষমতা অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।