বিনোদন
বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ মে ২০১৮, শুক্রবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন। সমপ্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের অসুস্থতার কথা প্রকাশ করেন বুলবুল। তিনি জানান, তার হার্টে ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। শিগগিরই বাইপাস সার্জারি হবে। ওই লেখাটি প্রধানমন্ত্রীর চোখে পড়েছে বলে পলক জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার রাতে বুলবুল ফেসবুকে লেখেন, সরকারের নির্দেশেই ২০১২তে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে
সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু, এই সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজ হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়। একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে ৮টা ব্লক ধরা পড়েছে এবং বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না। এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে সিসিইউ-তে চারদিন ভর্তি ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি। কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরীফ রাখতে চাই)।
সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু, এই সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজ হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়। একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে ৮টা ব্লক ধরা পড়েছে এবং বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না। এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে সিসিইউ-তে চারদিন ভর্তি ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি। কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরীফ রাখতে চাই)।