বাংলারজমিন
ঝরেপড়াদের ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ইউএনও
বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
১৬ মে ২০১৮, বুধবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। এবারই প্রথম শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন কোনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁর লক্ষ্য ঝরেপড়া রোধ ও শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করা। বিয়ানীবাজারে প্রাথমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান ছুটলেন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে। এবাড়ি-ওবাড়ি গিয়ে কথা বললেন অভিভাবকদের সঙ্গে। পৌর এলাকার নবাং-সুতারকান্দিতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিয়া ও নবাং-সুতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হাফছা বেগম। স্থানীয় ইউএনও’র এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলার শিক্ষা সচেতন মহল। মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মজির উদ্দিন আনছার বলেন, এটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে ইউএনও বাড়ি যাচ্ছেন- মা-বাবাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ উদ্যোগটি অব্যাহত থাকলে শিক্ষার অগ্রযাত্রায় এবং ঝরেপড়া রোধে কাজে লাগবে। জাতীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল জানান, একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত দৃঢ় হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা করছি এ উপজেলার শতভাগ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করার। তিনি বলেন, আমাদের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মহল এগিয়ে এলে এ উপজেলার শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব।
তাঁর উদ্যোগে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়িয়াবহরের গুচ্ছগ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় একজন প্রবাসী ওই এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দান করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা করছি এ উপজেলার শতভাগ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করার। তিনি বলেন, আমাদের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মহল এগিয়ে এলে এ উপজেলার শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব।
তাঁর উদ্যোগে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়িয়াবহরের গুচ্ছগ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় একজন প্রবাসী ওই এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দান করেছেন।