রকমারি
‘হিউম্যান ইফোর্টস ফর লোকাল পিপল’ (হেল্প)
দারিদ্র্য-দূর্যোগ পিড়ীতদের পাশে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ
পিয়াস সরকার
১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:২০ পূর্বাহ্ন
একবার ভেবে দেখুন তো, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনি ঘরের চালে বসে আছেন আর চারিদিকে পানি আর পানি। আপনার আদরের শিশুটি আপনার কোলে। কোল ছাড়া হলেই মৃত্যু নিশ্চিত। সাপের কামড়ের ভয় তো আছেই। আবার হঠাৎ লক্ষ করলেন আপনার শরীরে দেখা দিয়েছে চর্ম রোগ। সারা দিন রাত ভেজা কাপড়ে খাবারের সন্ধান করেও মিলছে না খাবার।
তীব্র শীতেশুধু ছেড়া একটা জামা গায়ে দিয়ে হচ্ছে আপনার শীত নিবারণ। আবার খাদ্যের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে ঘর থেকে। বেরিয়েই যে কাজের সন্ধান হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নাই। সামান্য টাকার অভাবে করতে পারছেন না চিকিৎসা। সন্তানকে চাইলেও পাঠাতে পারছেন না স্কুলে।
ঠিক এমন পরিস্থিতির মাঝেই দিন কাটে উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের। দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ তো আছেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন বাস্তবতায় আবদ্ধ পরিবারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। সেই সাথে তীব্র শীত, বন্যা, নদী ভাঙ্গনসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের আঘাত। সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রংপুরের কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ। কলেজ পড়–য়া কজন মিলে গড়ে তোলে একটি দাতব্য সংগঠন- ‘হিউম্যান ইফোর্টস ফর লোকাল পিপল’ (হেল্প)। তাদের লক্ষ্যই হলো রংপুর বিভাগজুড়ে দারিদ্র্য আর দূর্যোগ পিড়ীতদের দূর্দশা লাঘবের সাধ্যমত চেষ্টা করা।
গেল বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চারটি অংশে ভাগ করে ত্রাণ বিতরণ করে তারা। দিনাজপুরে ২৫০ টি পরিববার, রংপুরের গজঘণ্টায় ১০০ টি পরিবার , কুড়িগ্রামের তিস্তা ব্যারেজে ৪০০ টি পরিবার এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ২০০ টি পরিবারে র কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয় তারা। প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্ধকৃত প্যাকেটে ছিল ২ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১/২ কেজি ডাল, ১/২ কেজি লবণ , ১টি দিয়াশলাই, ১টি সাবান, ৪ প্যাকেট স্যালাইন ও ১০০ টাকা। এছাড়াও প্রতিটি ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে ছিল হেলথ ক্যাম্প।
এবারের শীতে হেল্প ৫৫০ টি জ্যাকেট বিতরণ সহ ৩ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করে। পাশাপাশি শিশুদের পোশক, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। পথ শিশুদের ঈদ উপহার, এতিমদের ঈদ উপহার, বৃক্ষ রোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে। অসহায় রোগীদের আর্থিক সহযোগীতা, এতিম মেয়েদের বিবাহ এবং কর্মসংস্থানের জন্য রিক্সা বিতরণ ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য কাজ করেছে হেল্প।
এসব ত্রাণের টাকা তারা সংগ্রহের জন্য ছুটে বেরায় বিত্তবানদের এবং পরিচিত স্বজনদের কাছে। আবার হেল্পের অনেক সদস্ য অধ্যায়নরত আছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও সংগৃহীত হয় টাকা।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুরের কিছু শিক্ষার্থী সর্বপ্রথম শীতার্ত মানুষের পাশে শীত বস্ত্র বিরতণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। এভাবে ধীরে ধীরে সাহায্যের পরিসর বড় হতে থাকে। নামহীন থেকে তাদের সংগঠনের নামকরণ করা হয়। সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিচিতি ঘটতে থাকে।
হেল্পের সভাপতি ফাহমিদ হাসিব ফিয়ান বলেন, আমরা হেল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া অসহায় লোকদের সাবলম্বী করে তুলবার চেষ্টা করছি। তবে ক্ষুদ্র পরিসরের কাজ গুলোকে বিত্তবানদের সহযোগীতায় বড় পরিসরে করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, হেল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষার্থীরা। ৩০ জন সক্রিয় সদস্য এবং প্রায় ১০০ জন সদস্য হেল্পের সঙ্গে যুক্ত।
হেল্পের সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা এবছর সফলতার সঙ্গে বন্যার্ত এবং শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তীতে এর পরিধি আরো বৃদ্ধি করা।
তীব্র শীতেশুধু ছেড়া একটা জামা গায়ে দিয়ে হচ্ছে আপনার শীত নিবারণ। আবার খাদ্যের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে ঘর থেকে। বেরিয়েই যে কাজের সন্ধান হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নাই। সামান্য টাকার অভাবে করতে পারছেন না চিকিৎসা। সন্তানকে চাইলেও পাঠাতে পারছেন না স্কুলে।
ঠিক এমন পরিস্থিতির মাঝেই দিন কাটে উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের। দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ তো আছেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন বাস্তবতায় আবদ্ধ পরিবারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। সেই সাথে তীব্র শীত, বন্যা, নদী ভাঙ্গনসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের আঘাত। সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রংপুরের কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ। কলেজ পড়–য়া কজন মিলে গড়ে তোলে একটি দাতব্য সংগঠন- ‘হিউম্যান ইফোর্টস ফর লোকাল পিপল’ (হেল্প)। তাদের লক্ষ্যই হলো রংপুর বিভাগজুড়ে দারিদ্র্য আর দূর্যোগ পিড়ীতদের দূর্দশা লাঘবের সাধ্যমত চেষ্টা করা।
গেল বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চারটি অংশে ভাগ করে ত্রাণ বিতরণ করে তারা। দিনাজপুরে ২৫০ টি পরিববার, রংপুরের গজঘণ্টায় ১০০ টি পরিবার , কুড়িগ্রামের তিস্তা ব্যারেজে ৪০০ টি পরিবার এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ২০০ টি পরিবারে র কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয় তারা। প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্ধকৃত প্যাকেটে ছিল ২ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১/২ কেজি ডাল, ১/২ কেজি লবণ , ১টি দিয়াশলাই, ১টি সাবান, ৪ প্যাকেট স্যালাইন ও ১০০ টাকা। এছাড়াও প্রতিটি ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে ছিল হেলথ ক্যাম্প।
এবারের শীতে হেল্প ৫৫০ টি জ্যাকেট বিতরণ সহ ৩ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করে। পাশাপাশি শিশুদের পোশক, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। পথ শিশুদের ঈদ উপহার, এতিমদের ঈদ উপহার, বৃক্ষ রোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে। অসহায় রোগীদের আর্থিক সহযোগীতা, এতিম মেয়েদের বিবাহ এবং কর্মসংস্থানের জন্য রিক্সা বিতরণ ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য কাজ করেছে হেল্প।
এসব ত্রাণের টাকা তারা সংগ্রহের জন্য ছুটে বেরায় বিত্তবানদের এবং পরিচিত স্বজনদের কাছে। আবার হেল্পের অনেক সদস্ য অধ্যায়নরত আছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও সংগৃহীত হয় টাকা।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুরের কিছু শিক্ষার্থী সর্বপ্রথম শীতার্ত মানুষের পাশে শীত বস্ত্র বিরতণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। এভাবে ধীরে ধীরে সাহায্যের পরিসর বড় হতে থাকে। নামহীন থেকে তাদের সংগঠনের নামকরণ করা হয়। সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিচিতি ঘটতে থাকে।
হেল্পের সভাপতি ফাহমিদ হাসিব ফিয়ান বলেন, আমরা হেল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া অসহায় লোকদের সাবলম্বী করে তুলবার চেষ্টা করছি। তবে ক্ষুদ্র পরিসরের কাজ গুলোকে বিত্তবানদের সহযোগীতায় বড় পরিসরে করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, হেল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষার্থীরা। ৩০ জন সক্রিয় সদস্য এবং প্রায় ১০০ জন সদস্য হেল্পের সঙ্গে যুক্ত।
হেল্পের সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা এবছর সফলতার সঙ্গে বন্যার্ত এবং শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তীতে এর পরিধি আরো বৃদ্ধি করা।