দেশ বিদেশ
ঢাবিতে ভর্তি জালিয়াতির প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৭ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বলে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত। প্রকাশিত সংবাদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করে। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াদের মধ্যে পাঁচজন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত বুধবার ইনস্টিটিউটটির তৃতীয় বর্ষের মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ৫০৩নং কোর্সের ওই মিডটার্ম পরীক্ষায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বাধ্য হয়ে প্রশাসন অভিযুক্তদের পরীক্ষা নেয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু গতকাল একজন সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতায় ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্তদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভর্তি হওয়াদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে ইনস্টিটিউটের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টার দিকে মিডটার্ম পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিষয়টির মীমাংসায় বিকালে ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা জরুরি এক অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে বসেছেন। তবে মিটিংয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানতে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। বিভাগটির একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, সকাল ১০টায় মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা যখন আসন গ্রহণ করে, ঠিক তখনই কয়েকজন শিক্ষক জালিয়াতকারীদের নিয়ে হলে প্রবেশ করে তাদের পরীক্ষার ব্যাবস্থা করে। ছাত্ররা আপত্তি করলেও তখন বিভাগের শিক্ষকরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। তাই তাদের পরীক্ষা নিতে হবে। প্রতিবাদে ১১টায় পরীক্ষা শেষে ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করতে শুরু করে। জানতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কোনো জালিয়াতকারীর সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই না। তাদের বহিষ্কারের দাবিতে আমাদের সঙ্গে সকল ব্যাচ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যারা অভিযুক্ত তাদের নাম গণমাধ্যমে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সরকারি সংস্থা। ডিজিটাল জালিয়াতি হওয়ায় প্রমাণ করতে দেরি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।