দেশ বিদেশ

সীমান্তে হত্যা বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা প্রসঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা বলেন, মানবাধিকারে বিশ্বাস করে ভারত। ভারত কিংবা বাংলাদেশের কোনো বাহিনীর কাছেই সীমান্তে প্রাণহানি কাম্য নয়। বিএসএফ সীমান্তে হত্যা বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
ঢাকার পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ)’র মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৬তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো  বলেন, নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহারের ফলে সীমান্তে প্রাণঘাতীর ঘটনা কমে এসেছে। ২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যার ঘটনা ছিল ১৬টি। তবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো হত্যার ঘটনা ঘটেনি। এ কৌশল (নন লিথেল অস্ত্রের ব্যবহার) অবলম্বনের কারণে অপরাধীদের দ্বারা বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিএসএফ সদস্যরা শুধু আত্মরক্ষার্থেই নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয় বলেও তিনি দাবি করেন। মাদক-চোরাচালান বন্ধ করতে বিএসএফ’র তৎপরতা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিএসএফ’র মহাপরিচালক বলেন, উভয়পক্ষে গবাদি পশু ও মাদক চোরাচালানপ্রবণ এলাকায় যৌথ টহল পরিচালনা, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিধি-নিষেধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ঢুকতে পারে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কে কে শর্মা বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফ-বিজিবি তৎপর রয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত নাগরিকদের বর্ডার পারাপার বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কাজে লাগিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোনো অপকর্ম কিংবা ষড়যন্ত্র করতে না পারে এ ব্যাপারে যৌথভাবে কাজ করছে বিজিবি-বিএসএফ। ফেলানী হত্যার বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিবি’র মহাপরিচালক বলেন, ফেলানী হত্যার বিষয়টি ভারতের আদালতে বিচারাধীন। যে কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারছি না। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি-জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন) স্বাক্ষরিত হয়। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসাররা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভে অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবারের সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা, চোরাচালান, মাদক, মানবপাচার বন্ধ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণকাজ, আখাউড়া আসিপির ভারতীয় অংশে ইটিপি স্থাপন এবং বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে আস্থা, সুসম্পর্ক, সৌহার্দ্য আরো  বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আজ পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবি’র মহাপরিচালক ও বিএসএফ’র মহাপরিচালক উভয় বাহিনীর জয়েন্ট রিট্রিটি সেরিমনি উদ্বোধন করবেন বলে জানান তারা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status