এক্সক্লুসিভ
সাংবাদিক ফারুকের চিকিৎসা ব্যয়ে দিশাহারা মা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২৭ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সাংবাদিক মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকের চিকিৎসা ব্যয়ে দিশাহারা মা জাহেদা বেগম। নিজ শ্রমের আয় ও ধারের অর্থে চলছে ফারুকের চিকিৎসা। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন মা জাহেদা বেগম। যার দুই-তৃতীয়াংশই ধার করা। সাংবাদিক ফারুক দৈনিক মানবজমিন-এর সীতাকুন্ড প্রতিনিধি।
মা জাহেদা বেগম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ফারুকের বাম পায়ের হাঁটুর উপরের হাড় ভেঙে গেছে। নাক-মুখ থেঁতলে গেছে। মুখের ভেতর ও মাথায় রক্তক্ষরণের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসার সিটি স্ক্যানসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও অর্থাভাবে তা করা এখনো সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আবদুল্লাহ আল ফারুক এখনো কথা বলতে পারছে না বলে জানান মা জাহেদা বেগম। তিনি বলেন, তিন ছেলের মধ্যে ফারুক সবার ছোট। বড় ছেলে ও মেজো ছেলের আলাদা সংসার। মেজো ছেলে আকতার হোসেন ছোট একটি দোকান করেন। বড় ছেলে ইসমাইল একটি ছোট প্রজেক্টে কাজ করেন। তাদেরও রয়েছে আর্থিক দৈন্য। ফারুকের চিকিৎসায় তারা সাধ্যমতো ব্যয় করলেও তা অপ্রতুল। মা জাহেদা বেগম বলেন, ফারুককে নিয়ে আলাদা থাকি আমি। নিজের শ্রমের আয়ে কোনোমতে সংসার চলে। এ অবস্থায় ফারুকের চিকিৎসা ব্যয় করতে গিয়ে আমি দিশাহারা। টাকার অভাবে সিটি স্ক্যানসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ কিনতে পারছি না। তার চিকিৎসা ব্যয়ে আরো দেড়-দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এ টাকা কীভাবে জোগাবো বুঝতে পারছি না। সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ফারুকের খালাত ভাই আলাউদ্দিন জানান, গত ২৩শে এপ্রিল সোমবার বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার ত্রিপুরা এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য জাহাঙ্গীর আলম নামে অপর এক সাংবাদিককে নিয়ে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার রহমতগঞ্জ এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আবদুল্লাহ আল ফারুক। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। যা তার মা ধারকর্জ করে চিকিৎসা ব্যয় চালাচ্ছেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার অভাবে তার পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তার হুঁশ ফেরেনি। আলাউদ্দিন আরো জানান, ফারুককে প্রথমে হাসপাতালের ১৯ নং ওয়ার্ডে অর্থোপেডিক্স বিভাগে, এরপর ২৩ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জামশেদুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা করাতে না পারায় এখনো সংকট কেটেছে তা বলা যাচ্ছে না। সুস্থ হতে তো ওষুধ খেতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তা সঠিক সময়ে হচ্ছে না।
মা জাহেদা বেগম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ফারুকের বাম পায়ের হাঁটুর উপরের হাড় ভেঙে গেছে। নাক-মুখ থেঁতলে গেছে। মুখের ভেতর ও মাথায় রক্তক্ষরণের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসার সিটি স্ক্যানসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও অর্থাভাবে তা করা এখনো সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আবদুল্লাহ আল ফারুক এখনো কথা বলতে পারছে না বলে জানান মা জাহেদা বেগম। তিনি বলেন, তিন ছেলের মধ্যে ফারুক সবার ছোট। বড় ছেলে ও মেজো ছেলের আলাদা সংসার। মেজো ছেলে আকতার হোসেন ছোট একটি দোকান করেন। বড় ছেলে ইসমাইল একটি ছোট প্রজেক্টে কাজ করেন। তাদেরও রয়েছে আর্থিক দৈন্য। ফারুকের চিকিৎসায় তারা সাধ্যমতো ব্যয় করলেও তা অপ্রতুল। মা জাহেদা বেগম বলেন, ফারুককে নিয়ে আলাদা থাকি আমি। নিজের শ্রমের আয়ে কোনোমতে সংসার চলে। এ অবস্থায় ফারুকের চিকিৎসা ব্যয় করতে গিয়ে আমি দিশাহারা। টাকার অভাবে সিটি স্ক্যানসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ কিনতে পারছি না। তার চিকিৎসা ব্যয়ে আরো দেড়-দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এ টাকা কীভাবে জোগাবো বুঝতে পারছি না। সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ফারুকের খালাত ভাই আলাউদ্দিন জানান, গত ২৩শে এপ্রিল সোমবার বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার ত্রিপুরা এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য জাহাঙ্গীর আলম নামে অপর এক সাংবাদিককে নিয়ে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার রহমতগঞ্জ এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আবদুল্লাহ আল ফারুক। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। যা তার মা ধারকর্জ করে চিকিৎসা ব্যয় চালাচ্ছেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার অভাবে তার পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তার হুঁশ ফেরেনি। আলাউদ্দিন আরো জানান, ফারুককে প্রথমে হাসপাতালের ১৯ নং ওয়ার্ডে অর্থোপেডিক্স বিভাগে, এরপর ২৩ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জামশেদুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা করাতে না পারায় এখনো সংকট কেটেছে তা বলা যাচ্ছে না। সুস্থ হতে তো ওষুধ খেতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তা সঠিক সময়ে হচ্ছে না।