এক্সক্লুসিভ
সত্তরোর্ধ্ব দেবেন্দ্র নাথের ভাগ্যে জুটেনি বয়স্কভাতা...
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৭ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
হাতে লাঠি, কাঁধে ব্যাগ, আর চোখে-মুখে হতাশার ছাপ, সামনে শুধুই অন্ধকার। স্বামী-স্ত্রীর দু’জনের সংসার। ১ ছেলে, ১ কন্যা বিয়ের পর তারা তাদের পিতা-মাতাকে রেখে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। পৈত্রিক সূত্রে একচিলতে ভিটে-মাটি থাকলেও অভাবের তাড়নায় পূর্বেই বিক্রি করে দেয়। ভিটে-মাটি বলতে আর কিছুই নেই তাদের। বসবাস সরকারি রাস্তার ধারে একটি ঝুপড়িঘরে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি প্রবেশ করে। দু’জন মিলে প্রতিদিন কাকডাকা ভোর হতেই ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে মানুষের দারস্থ হন। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছত্রজিৎ মৌজার মুড়িয়াপাটকি পাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দ্র নাথ রায় (৭১)। ৪ বছর পূর্বে বাকশক্তি হারিয়ে এখন তিনি আর কথা বলতে পারেন না। ইশারা-ইঙ্গিতে চলছে দেবেন্দ্র নাথের চলাফেরা। স্ত্রী কৌশুল্যা রাণী (৬৫) জানান, ‘চেয়ারম্যান-নেম্বর হামাক কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করছে না। কারণ জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চেয়ারম্যানোক চিনিনা, নেম্বরকে চিনি। ভোটের পর এই এলাকার নেম্বর জিতেন্দ্র নাথ রায়কে বয়স্ক ভাতার জন্য মোর ভাগ্নে রনঞ্জিত ওরফে ভ্যালং মারফত ৩০০০ টাকা জোগাড় করে দিছি। ৬ মাস পর নেম্বর ২৫০০ টাকা ফিরি দিছে। কইছে তোমার বয়স্ক ভাতা হবার নয়।’ পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ওই পরিবারটির ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা বলে জানান কৌশুল্যা রাণী। ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তিনি টাকা গ্রহণ করার কথা অস্বীকার করে জানান, দেবেন্দ্র নাথের ভাগ্নে ভ্যালংকে বলেছি, বয়স্ক ভাতা হবে না, দেখি আগামীতে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দিবো। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু বলেন, তার সম্পর্কে ইতিপূর্বে কেউ আমাকে জানায়নি। এখন বিষয়টি জানা থাকলো, পরবর্তীতে আমি দেখবো।