বিশ্বজমিন

তারা পর্নো তারকা ছিলেন!

মানবজমিন ডেস্ক

২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৩:১৫ পূর্বাহ্ন

এলিনা ও শাশা পার্কার। লন্ডনের এই দুই যুবতী যমজ। তারা কাজ করেন দুবাইয়ের আল সাফার অ্যান্ড পার্টনারস নামের প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যখানে। গত বছর ৪ঠা আগস্ট রাতের বেলা তাদের অসংলগ্ন আচরণের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তারা হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ জন্য মামলা আরো টাইট হয়। এ নিয়ে অনুসন্ধান চালায় মেইল অনলাইন। তাতে দেখা যায়, ওই দু’বোন আসলে পর্নো তারকা ছিলেন। তারা যখন লন্ডনে বসবাস করতেন তখন তাদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে দেহ ব্যবসা করতে হয়েছে। এ সময়ে তারা পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা দু’জনেই পড়াশোনা করে বৃটিশ আইনজীবী হয়েছেন। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলা ও আরব নারীদের প্রতি অভিসম্পাত করার কারণে তাদেরকে জেল দেয়া হচ্ছে দুবাইতে। তাদের দু’জনেরই জন্ম ১৯৮১ সালে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত বেলারুশে। মাত্র আট বছর আগে তারা বৃটিশ নাগরিকত্ব পান। একবার বৃটিশ টেলিভিশন পরিচালক মাইল পার্কার রাশিয়া গিয়েছিলেন ছবি নির্মাণ করতে। তার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই দু’বোনের। তারপরই বৃটেনে আসার পথ তৈরি হয়ে যায় তাদের। তারা আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পাড়ি জমান লন্ডনে। এরপরই ২০০১ সালের জানুয়ারিতে পার্কারকে বিয়ে করেন এলিনা। এ সময়ে তার বোন শাশাও নিজের নাম পরিবর্তন করে নামের সঙ্গে যোগ করে নেন পার্কার। ২০০২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টারে আইনে পড়াশোনা করেন এলিনা। এরপর দু’বোন পাড়ি জমান দুবাইয়ে।  তাদের বিষয়ে পূর্ব লন্ডনে অবস্থানকারী মাইল পার্কার বলেছেন, তিনি বিয়ে করেছিলেন এলিনাকে। সে সময়ই এলিনা তার নামের সঙ্গে পার্কার শব্দটি জুড়ে দেয়। শাশাও তার নাম পাল্টে শাশা পার্কার করে ফেলে। কারণ, সেও চাইছিল তার বোনের মতো একই নাম ধারণ করতে। কারণ তারা একজন থেকে আরেকজন বিচ্ছিন্ন হতে চায় নি। ২০০৭ সালে তারা দু’জনেই চলে যায় দুবাইয়ে। একসঙ্গে একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। তবে তারা যে পর্নোছবিতে অভিনয় করেছেন এ বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান মাইক পার্কার। তবে তিনি বলেন, তারা জীবনের অনেক কঠিন পরিস্থিতি পাড় করে এসেছে। সেই পথ অনেক দীর্ঘ। কিন্তু দুবাইয়ে অশোভন আচরণের কারণে তাদেরকে আটক করার পর অভিযোগের শুনানি হয় সোমবার দুবাই মিসডিম্যানিউর কোর্টে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আল বাশরা জেলায় সম্প্রতি মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এলিনাকে। এখন তাদেরকে অভিযুক্ত করা হলে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status