দেশ বিদেশ
নবীগঞ্জে দপ্তরি নিয়োগে বাণিজ্য ৯ জনের নিয়োগ বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
২৩ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
নবীগঞ্জে ভুয়া সনদে নিয়োগ প্রাপ্ত ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে ২৬ প্রার্থীর লিখিত অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উল্লিখিতদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। লিখিত অভিযোগ খতিয়ে দেখেন সাবেক তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা। নিয়োগ বৈধকরণে স্কুল সনদ সংগ্রহের জন্য দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বাতিল বিদ্যালয় হচ্ছে, নবীগঞ্জ উপজেলার করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনারু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম তিমিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হায়রারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুজাখাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গজনাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি কামপ্রহরী পদে মৌখিক পরীক্ষা গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ কমিটির সভাপতি তৎকালীন নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৯০ জন চাকরি প্রার্থী। ১৪ই ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করে ৫২ জনের নাম প্রকাশ করে নিয়োগ কমিটি। নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার এবং সদস্য সচিব ছিলেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
ছয় সদস্যর নিয়োগ কমিটির সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ১ জন করে প্রতিনিধি এবং নির্ধারিত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। দপ্তরি পদে নিয়োগ প্রদানের পরই এ পদে বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। সনদ জালিয়াতি, ভুয়া পরিচয়, ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেয়ার অভিযোগ বিষয়ে ২৬ জন প্রার্থী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা অভিযোগ তদন্ত করে ৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পান। ওদিকে, এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার গত ১লা জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বদলি হন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, গত ৩রা জানুয়ারি যোগদান করার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের চিঠি পেয়ে ৯টি বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগ সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
ছয় সদস্যর নিয়োগ কমিটির সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ১ জন করে প্রতিনিধি এবং নির্ধারিত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। দপ্তরি পদে নিয়োগ প্রদানের পরই এ পদে বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। সনদ জালিয়াতি, ভুয়া পরিচয়, ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেয়ার অভিযোগ বিষয়ে ২৬ জন প্রার্থী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা অভিযোগ তদন্ত করে ৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পান। ওদিকে, এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার গত ১লা জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বদলি হন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, গত ৩রা জানুয়ারি যোগদান করার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের চিঠি পেয়ে ৯টি বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগ সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।