দেশ বিদেশ
রোজিনার অবস্থা সংকটাপন্ন
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর বনানীতে বাসের চাপায় পা হারানো রোজিনা আক্তারের অবস্থা সংকটাপন্ন। জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিচালক প্রফেসর মো. আবদুল গনি মোল্লা বলেন, রোজিনার অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল সকালে রোজিনার পায়ের দ্বিতীয় অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় আসলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এখন সে রিকভারি রুমে আছে। তার থাইয়ের ভেতর থেকে অনেক পচা মাংস ও হাড় অপসারণ করা হয়েছে। রোজিনার ডান থাই বলতে আর কিছুই রইলো না। এছাড়া তার ডান হাত ও কাঁধে আঘাত রয়েছে। এই ধরনের দুর্ঘটনায় রোগীর কিডনি ফল করার সম্ভাবনা থাকে। তার শরীরের অন্যান্য সমস্যার কথা এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আজ (সোমবার) আর একটি অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। রোজিনার চিকিৎসায় গনি মোল্লার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহের মেয়ে রোজিনা গত ১০ বছর ধরে ঢাকায় সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায় কাজ করে আসছিলেন। ইশতিয়াক রেজা বলেন, প্রথমবার অস্ত্রোপচারে রোজিনার ডান পা উরু থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পচন ধরায় রোববার আবারো অস্ত্রোপচার করে বাকি অংশটুকু ফেলে দিতে হয়েছে। ওর অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। শরীর থেকে জ্বর নামছে না। ডাক্তার জানিয়েছে এটাকে বলা হয় সেপ্টিসিমিয়া; যেটা খুবই মারত্মক বলে জানান সাংবাদিক ইশতিয়াক।
রোজিনার ছোট বোন তানজিলা বলেন, সকাল ১১টায় অপারেশনের পর থেকে বোন শুধু ঘুমাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে কিছুক্ষণ পর পরই ব্যথা বলে চিৎকার করে ওঠে। বিকালে ঘুমের মধ্যেই সামান্য কেক খেয়েছিল। সকালে তার শরীরে আবার এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। জানিনা বোনের কি হবে। হাসপাতালে বোনের কাছে দাদি, চাচা-চাচী ও বাবা রয়েছেন বলে জানান তানজিলা। উল্লেখ্য, বনানী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসে চাপা পড়েন রোজিনা। কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীবের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই এ ঘটনা ঘটলো। আহত রোজিনাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলেই রোজিনার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে নয়টার দিকে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দ্রুতগামী একটি বিআরটিসি দ্বিতল বাসের নিচে পড়ে যান রোজিনা। ঘটনাস্থলে পথচারীরা বিআরটিসির দ্বিতল বাসটি আটকে ফেলে এবং চালককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সিডি ওয়ার্ডের জি-৮০ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন রোজিনার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঘোষগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম রসুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম। এদিকে আহত রোজিনার চিকিৎসা খরচ বহন করার কথা জানিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিআরটিসির কর্মকর্তারা রোজিনাকে দেখতে হাসপাতালে যান।
রোজিনার ছোট বোন তানজিলা বলেন, সকাল ১১টায় অপারেশনের পর থেকে বোন শুধু ঘুমাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে কিছুক্ষণ পর পরই ব্যথা বলে চিৎকার করে ওঠে। বিকালে ঘুমের মধ্যেই সামান্য কেক খেয়েছিল। সকালে তার শরীরে আবার এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। জানিনা বোনের কি হবে। হাসপাতালে বোনের কাছে দাদি, চাচা-চাচী ও বাবা রয়েছেন বলে জানান তানজিলা। উল্লেখ্য, বনানী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসে চাপা পড়েন রোজিনা। কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীবের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই এ ঘটনা ঘটলো। আহত রোজিনাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলেই রোজিনার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে নয়টার দিকে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দ্রুতগামী একটি বিআরটিসি দ্বিতল বাসের নিচে পড়ে যান রোজিনা। ঘটনাস্থলে পথচারীরা বিআরটিসির দ্বিতল বাসটি আটকে ফেলে এবং চালককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সিডি ওয়ার্ডের জি-৮০ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন রোজিনার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঘোষগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম রসুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম। এদিকে আহত রোজিনার চিকিৎসা খরচ বহন করার কথা জানিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিআরটিসির কর্মকর্তারা রোজিনাকে দেখতে হাসপাতালে যান।