অনলাইন
পরকীয়ার জেরে নৃশংস হত্যা
নওগাঁ প্রতিনিধি:
২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
পরকীয়ার জেরে খুন হলেন আদমদিঘী উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের ডুমুরীগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ(৫২)। তাকে তার প্রেমিকার ঘরে আটকে রেখে এলোপাথারী মারপিট, গোপনাঙ্গ কর্তন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। আজ সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহত রশিদ মাষ্টারের প্রেমিকা আফরোজা বেগম(৩৮) ও তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক(৫০) কে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয়রা জানান, হিহত আব্দুর রশিদ শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছ চাষ করে থাকেন। গ্রামে তার পুকুরে চাষ করা মাছের খাদ্য দিতে প্রতিদিন পুকুরে যেতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রশিদ মাস্টার পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পাননি। আজ শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী পুকুরের কিছু দুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ির কাছে রশিদ মাস্টারের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ওয়াহেদুজ্জামান পরকীয়ার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে এই হত্যার পেছনে ভিন্ন কোন কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নিহত রশিদ মাষ্টারের মেয়ে সেলিনা আফরোজ জানান, আমার বাবা খুব ভাল মানুষ ছিলেন। প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জমি ও পুকুর নিয়ে বিরোধ চলছিলো এর কারণেই বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা।
প্রতিবেশী ফিরোজ হোসেনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, রশিদ মাষ্টারের সঙ্গে আফরোজা বেগমের পরকীয়া বিষয়টি গ্রামের প্রায় সকলেই জানেন। কারণ ইতোপুর্বে তাদের হাতেনাতে ধরেছিল গ্রামবাসী। এ নিয়ে গ্রাম শালিসে রশিদ মাষ্টারের জরিমানাও করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, হিহত আব্দুর রশিদ শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছ চাষ করে থাকেন। গ্রামে তার পুকুরে চাষ করা মাছের খাদ্য দিতে প্রতিদিন পুকুরে যেতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রশিদ মাস্টার পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পাননি। আজ শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী পুকুরের কিছু দুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ির কাছে রশিদ মাস্টারের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ওয়াহেদুজ্জামান পরকীয়ার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে এই হত্যার পেছনে ভিন্ন কোন কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নিহত রশিদ মাষ্টারের মেয়ে সেলিনা আফরোজ জানান, আমার বাবা খুব ভাল মানুষ ছিলেন। প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জমি ও পুকুর নিয়ে বিরোধ চলছিলো এর কারণেই বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা।
প্রতিবেশী ফিরোজ হোসেনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, রশিদ মাষ্টারের সঙ্গে আফরোজা বেগমের পরকীয়া বিষয়টি গ্রামের প্রায় সকলেই জানেন। কারণ ইতোপুর্বে তাদের হাতেনাতে ধরেছিল গ্রামবাসী। এ নিয়ে গ্রাম শালিসে রশিদ মাষ্টারের জরিমানাও করা হয়েছিল।