দেশ বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ সফরকারী ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল চেষ্টায় মিয়ানমার ওই জনগোষ্ঠীর ওপর যে বর্বরতা চালিয়েছে তার তদন্তে দেশটির বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মীদের নির্যাতন প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শুরু থেকে সোচ্চার রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছি। নির্যাতন থেকে প্রাণে বেঁচে আসা এবং বর্বরতার সাক্ষীয় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাদের মুখে নির্যাতনের ‘মর্মান্তিক’ ও ‘ভয়ঙ্কর’ কাহিনীগুলো শুনেছি। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যা হয়েছে তা গভীর উদ্বেগের বিষয় মন্তব্য করে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক বলেন, আমি গণহারে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। নো-ম্যান্সল্যান্ডের কিশোরদের আমি দেখেছি। তাদের কথা শোনার চেষ্টা করেছি। শিশু-কিশোররা আমাকে জানিয়েছে- তাদের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠজনদের অনেককে তাদের চোখের সামনে গুলি, ছুরিকাঘাত বা হত্যা করা হয়েছে। একজন কন্যাশিশু জানিয়েছে, তার চোখের সামনেই তার দাদা ও দাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ সহিংসতা। সফরের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে গতকাল আমেরিকান সেন্টারে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেন, আমি এমন একজন মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি, যার চোখের সামনে রাখাইনে তার ১২ বছরের কন্যাকে নির্যাতন করা হয়েছে। সেখানে একজন ইমামকে মারধর করে তার সামনেই রোহিঙ্গা নারীকে এনে বর্মীরা ধর্ষণ করেছে এবং তাকে ওই দৃশ্য দেখতে বাধ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্র রাখাইন পরিস্থিতিকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আগেই আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনও পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসন সহিংসতার জন্য দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে রাখাইন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া জেনারেল মং মং সোও রয়েছেন। স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে একজন ছাড়া সবাই আমাকে বলেছে, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে তাদেরকে রাখাইন থেকে তাড়ানো হয়েছে। আমি মনে করি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এটি একটি জাতিগত নির্মূল অভিযান। আমরা এটি তদন্ত অব্যাহত রাখবো। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক ট্রাম্পের দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকায় আসেন। বুধবার যান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। বাংলাদেশে আসার আগে তিনি তুরস্ক সফর করেন। দুই দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা তথা দেশ দুটির সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের হাল-হকিকত নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক
হয় তার।
সূত্র মতে, গতকাল বিকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং খৃস্টান সমপ্রদায়ের এক প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় হয় তার।
হয় তার।
সূত্র মতে, গতকাল বিকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং খৃস্টান সমপ্রদায়ের এক প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় হয় তার।