খেলা
দুই তরুণে গুঁড়িয়ে গেল পূর্বাঞ্চল
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের প্রত্যাশা ছিল জয় দিয়ে শিরোপার কাছাকাছি যাওয়ার। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ৫ম রাউন্ডে টসে জিতে উত্তরাঞ্চলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চেপেও ধরেছিল বোলাররা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে ৪১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল উত্তরাঞ্চল। দুই ফিফটি হাঁকিয়ে লিটন কুমার দাস ও তাসামুল সমানে সমান লড়াইয়ের হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে ইনিংস ও ২৮ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় জয়ে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন শিরোপার আরো কাছে উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে আগের চার ম্যাচে ড্র করলেও প্রথম হারের মুখ দেখেছে পূর্বাঞ্চল। দুই ইনিংসেও তারা ছুঁতে পারেনি ৪’শ। তাদের প্রথম ইনিংস থামে ২১৭ রানে। তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নবিরতির পর ফলোঅনে পড়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ফের পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। এবার ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চলের হয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছিল ১৬ বছর বয়সী পেসার শরিফুল ইসলাম। চার উইকেট নেন ১৯ বছর বয়সী পেসার ইয়াসিন আরাফাতও। দ্বিতীয় ইনিংসেও এ দুজন নিলেন ৩টি করে উইকেট। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলাম তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলে নেন তিন শিকার। এমন হারের পর পূর্বাঞ্চল ৪০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে। বিনা উইকেটে ১১০ রান নিয়ে গতকাল ম্যাচের তৃতয়ি দিনের খেলা শুরু করে পূর্বাঞ্চল। লিটন ৫২ ও তাসামুল ৪৯ রানে শুরু করে তৃতীয় দিন। কিন্তু এদিন বদলে যায় চিত্র। শরিফুল ও ইয়াসিনের বাউন্স আর সুইংয়ের জবাব খুঁজে পাননি পূর্বাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। ৭ চারে ৫৬ রান করা তাসামুলকে বোল্ড করে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অভিজ্ঞ শফিউল ইসলাম। পরে মাত্র ৬৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়ে পূর্বাঞ্চল। ইয়াসিন দারুণ এক স্পেলে লিটন ও মুমিনুলের সঙ্গে আফিফ হোসেন ও অলক কাপালীকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেন। এদিন লিটন ৬৯ রান করে আউট হন। ইয়াসিনের পর বাঁহাতি শরিফুল তুলে নেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাকের আলীর উইকেট। পরে বিদায় করেন সোহাগ গাজী ও আবু জায়েদকে।
১৯৮ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে প্রথম ইনিংসের ভুল শুধরাতে ব্যর্থ হয় পূর্বাঞ্চল। পরপর দুই বলে লিটন ও মুমিনুলকে ফিরিয়ে শুরুতেই তাদের চাপে ফেলেন শফিউল। এরপর আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক ইয়াসিন ও শরিফুল। ৯১ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধুকতে থাকে পূর্বাঞ্চল। তবে সোহাগ গাজী দ্রুত কিছু রান তুলে মানর রক্ষার চেষ্টা চালায়। তিনি ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সোহাগ গাজী। তাইজুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পরের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হয়ে যান স্টাম্পড। সোহাগের বিদায়ে বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার ইয়াসিন। শরিফুল ৭ উইকেট নেন ৫৪ রানে।
মিঠুনের দিনে তুষারের সেঞ্চুরির আক্ষেপ
দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাট হাতে রান ও সেঞ্চুরি রেকর্ডে এখন তুষার ইমরান নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। গতকাল এসে ছিল ২৯তম সেঞ্চুরির সুযোগ। কিন্তু প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে তার সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন সেঞ্চুরি হাঁকালেও ১২ রানের জন্য বঞ্চিত হন তুষার । ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আইট হন তুষার। তবে প্রথম দফায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিয়েছে ২৩৭ রানে। রাজশাহীতে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩০২ রান। ১১১ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল স্কোর বোর্ডে যোগ করে ৩৪৮ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। গতকাল মিঠুন ও তুষার গড়েছেন ১৯৩ রানের জুটি। দুজনের শুরুটা যদিও ছিল দুই রকম। তুষার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১০৫ বলে, মিঠুন মাত্র ৫৬ বলেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিঠুনের এটি ১২তম সেঞ্চুরি । ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১২১ বলে করেন ১১৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন)
বিসিবি- ইসলামী ব্যাংক
টস: পূর্বাঞ্চল (ফিল্ডিং)
উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪১৫ (মিজানুর ৪৬, শান্ত ৭৩, জহুরুল ১১৩, আরিফুল ১০১; সোহাগ ৪/৯১, আশরাফুল ২/৬৩)
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৬৩.২ ওভারে ২১৭ (তাসামুল ৫৬, লিটন ৬৯, মুমিনুল ২১, ইয়াসিন ৪/৩৯, শরিফুল ৪/৩৩,)
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৩৮.১ ওভারে ১৭০ (সোহাগ ৫০, শফিউল ৩/২৮, তাইজুল ১/৬৫, শরিফুল ৩/২১, ইয়াসিন ৩/১৬)
ফল: ইনিংস ও ২৮ রানে জয়ী উত্তরাঞ্চল
ম্যাচসেরা: ইয়াসিন আরাফাত
প্রাইম ব্যাংক-ওয়ালটন
টস: মধ্যাঞ্চল (ফিল্ডিং)
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯১
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৮৩ ওভারে ৩৪৮/৬ (এনামুল ৪৫, ইমরুল ৩০, তুষার ৮৮, মিঠুন ১১৮, নুরুল ১৪, জিয়াউর ১৭*, মোসাদ্দেক ২২*; এবাদত ১/৮৫, েমাশাররফ ৩/৮০, তানভীর ২/৬১)
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩০২
১৯৮ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে প্রথম ইনিংসের ভুল শুধরাতে ব্যর্থ হয় পূর্বাঞ্চল। পরপর দুই বলে লিটন ও মুমিনুলকে ফিরিয়ে শুরুতেই তাদের চাপে ফেলেন শফিউল। এরপর আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক ইয়াসিন ও শরিফুল। ৯১ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধুকতে থাকে পূর্বাঞ্চল। তবে সোহাগ গাজী দ্রুত কিছু রান তুলে মানর রক্ষার চেষ্টা চালায়। তিনি ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সোহাগ গাজী। তাইজুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পরের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হয়ে যান স্টাম্পড। সোহাগের বিদায়ে বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার ইয়াসিন। শরিফুল ৭ উইকেট নেন ৫৪ রানে।
মিঠুনের দিনে তুষারের সেঞ্চুরির আক্ষেপ
দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাট হাতে রান ও সেঞ্চুরি রেকর্ডে এখন তুষার ইমরান নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। গতকাল এসে ছিল ২৯তম সেঞ্চুরির সুযোগ। কিন্তু প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে তার সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন সেঞ্চুরি হাঁকালেও ১২ রানের জন্য বঞ্চিত হন তুষার । ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আইট হন তুষার। তবে প্রথম দফায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিয়েছে ২৩৭ রানে। রাজশাহীতে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩০২ রান। ১১১ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল স্কোর বোর্ডে যোগ করে ৩৪৮ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। গতকাল মিঠুন ও তুষার গড়েছেন ১৯৩ রানের জুটি। দুজনের শুরুটা যদিও ছিল দুই রকম। তুষার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১০৫ বলে, মিঠুন মাত্র ৫৬ বলেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিঠুনের এটি ১২তম সেঞ্চুরি । ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১২১ বলে করেন ১১৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন)
বিসিবি- ইসলামী ব্যাংক
টস: পূর্বাঞ্চল (ফিল্ডিং)
উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪১৫ (মিজানুর ৪৬, শান্ত ৭৩, জহুরুল ১১৩, আরিফুল ১০১; সোহাগ ৪/৯১, আশরাফুল ২/৬৩)
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৬৩.২ ওভারে ২১৭ (তাসামুল ৫৬, লিটন ৬৯, মুমিনুল ২১, ইয়াসিন ৪/৩৯, শরিফুল ৪/৩৩,)
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৩৮.১ ওভারে ১৭০ (সোহাগ ৫০, শফিউল ৩/২৮, তাইজুল ১/৬৫, শরিফুল ৩/২১, ইয়াসিন ৩/১৬)
ফল: ইনিংস ও ২৮ রানে জয়ী উত্তরাঞ্চল
ম্যাচসেরা: ইয়াসিন আরাফাত
প্রাইম ব্যাংক-ওয়ালটন
টস: মধ্যাঞ্চল (ফিল্ডিং)
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯১
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৮৩ ওভারে ৩৪৮/৬ (এনামুল ৪৫, ইমরুল ৩০, তুষার ৮৮, মিঠুন ১১৮, নুরুল ১৪, জিয়াউর ১৭*, মোসাদ্দেক ২২*; এবাদত ১/৮৫, েমাশাররফ ৩/৮০, তানভীর ২/৬১)
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩০২