দেশ বিদেশ
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড
কোর্ট রিপোর্টার
১৮ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
দুর্নীতির পৃথক চারটি মামলায় সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার প্রত্যেককে ৬৮ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদেরকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। দণ্ডিত অর্থের মধ্যে ৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য দুইটি মামলায় দুই জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ৬৮ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কাশেম মাহমুদুল্লাহ, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম ও সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুর রহমান। আসামিদের প্রত্যেককে চার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি ধারায় ১০ বছর করে ৪০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি করে মোট চার কোটি টাকা জরিমানা এবং অন্য একটি ধারায় ৭ বছর করে ২৮ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য দুটি মামলায় গ্রাহক তরিকুল ইসলাম ও মো. সালাউদ্দিনকে ১ মামলায় ১০ বছর করে এবং অন্য মামলায় আরো ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ মামলায় ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা (ডিজিএম) পরিচালক মো. ইমামুল হককে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিরা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে ভুয়া ঋণপত্রের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০০৬ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক পৃথক মামলা করে। ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে গতকাল এ রায় দেন।