এক্সক্লুসিভ

মাদকে ভাসছে দেশ

শুভ্র দেব:

১৮ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন

মাদকে ভাসছে সারা দেশ। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের অলিগলি সর্বত্র হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। মাদকের ভয়াল ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যুব সমাজ। মাদক নির্মূলে সরকারি- বেসরকারি ভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। কিছুদিন আগে ‘থানায় মাদকের হাট’ শিরোনামে পত্রিকায় খবরও ছাপা হয়েছে। এমনকি দেশে ইয়াবা তৈরির কারখানারও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিত্য নতুন কৌশলে দেশের সীমান্ত দিয়ে হরহামেশাই দেশে প্রবেশ করছে মাদক। এক সময় গোপনে মাদক ব্যবসা চলতো। কিন্তু ইদানীং অনেকটা খোলামেলা ভাবেই মাদকের ব্যবসা চলছে। স্থানীয় প্রশাসনে নাকের ডগায় বসে মাদক ব্যবসা চললেও বেশির ভাগ সময়ই তাদের নীরবতায় দেখা যায়। ফলে বেড়েই চলছে মাদক কেনাবেচা আর সেবন। বিভিন্ন জরিপ বলছে, দেশের সব শ্রেণির কম বেশি মানুষ এখন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাদ যাচ্ছে না নারী-কিশোর ও শিশু। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়। ৯৫ শতাংশ মাদক আসে বিদেশ থেকে। মাদক আগ্রাসন ঠেকাতে না পারলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে প্রতিবছর শুধু নেশার পেছনে খরচ হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তাই মাদক চোরাচালানের সকল রুটে কঠোর নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে মাদক নির্মূলে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।

মাদকদ্রব্য ও নেশা প্রতিরোধ নিরোধ সংস্থা (মানস) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে মাদক সেবনের সঙ্গে ৭০ লাখ মানুষ জড়িত। মানস বলছে, দেশে নারী মাদকাসক্তের সংখ্যাও এখন ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মাদক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২০ সালের ভেতরে দেশে অন্তত এক কোটি লোক নেশায় আসক্ত হবে। বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন ৬৫ লাখ মাদকাসক্ত। এছাড়া মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। সে হিসেবে এদেশে ১৩ লাখের বেশি নারী মাদকের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আর ৮৪ শতাংশ পুরুষ মাদকাসক্তের মধ্যে ৮০ শতাংশ যুবক। তাদের ৪৩ শতাংশ বেকার। ৫০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নারী, শিশু ও কিশোররা মাদক ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশে আসক্তদের ৯০ ভাগ কিশোর ও তরুণ। তাদের শতকরা ৪৫ ভাগ বেকার এবং ৬৫ ভাগ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট। আর উচ্চ শিক্ষিতের সংখ্যা ১৫ শতাংশ। এছাড়া আরেক জরিপে বলা হয়েছে, মাদকাসক্ত শিশুদের ড্রাগ গ্রহণ ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ৪৪ শতাংশ পথশিশু, পিকেটিংয়ে ৩৫ শতাংশ, ছিনতাইয়ে ১২ শতাংশ, মানব পাচারের সহায়তার কাজে ১১ শতাংশ, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের সহায়তাকারী হিসেবে ৫ শতাংশ ও অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ অপরাধে জড়িত ২১ শতাংশ। পাশাপাশি বোমাবাজিসহ অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ১৬ শতাংশ পথশিশু। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হেড অব সাইকোথেরাপি ও একাডেমিক কোর্স ডিরেক্টের অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল তার এক লেখায় বলেছেন, বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী দেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা ৭০ থেকে ৯০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে প্রায় ৯১ শতাংশ কিশোর ও যুবক। ইউএনওডিসি ২০১৪ সালে নারী মাদকাসক্ত এবং নারীদের নিয়মিত পুরুষ মাদকাসক্ত যৌনসঙ্গী সম্পর্কিত এক জরিপ প্রকাশ করে। সেখানে ১৭৬ জন মাদকাসক্ত নারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগের বয়স ছিল ২৮ বছর। আর এদের অর্ধেকের বেশি ইয়াবা ও হেরোইনে আসক্ত। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের এক জরিপ থেকে জানা যায়, তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ফেনসিডিল. গাঁজা ৩৮ শতাংশ, ইয়াবা ৪১ শতাংশ, হেরোইন ৭ শতাংশ ও ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা গ্রহণ করে ৫ শতাংশ। এই জরিপ থেকে জানা যায় দেশে আশঙ্কাজনকভাবে ইয়াবাসেবী বাড়ছে। দেশে মোট মাদকসেবীর মধ্যে ইয়াবাসেবী ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দিন দিন এই অবস্থা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওপেন সিক্রেট হচ্ছে, দেশের প্রতিটি কারাগারেই মাদক ব্যবসা চলে। বন্দিরা কারাগারের ভেতরে দিব্যি মাদক সেবন করছে। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৭৭ হাজার ১২৪ জন।  মোট বন্দির মধ্যে ৩৬.৯৭ শতাংশ বন্দি মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই হিসাবে মোট বন্দির মধ্যে ২৮ হাজার ৫৩৫ জন মাদকাসক্ত। তিনি আরো জানিয়েছেন মাদক পাচারের সঙ্গে বন্দিদের পাশাপাশি কারা অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। এসব কর্মচারীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। কারা সূত্রে জানা গেছে, বন্দিরা যখন আদালতে হাজিরা দিতে যায় তখন কৌশলে মাদক নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে। বহনে সুবিধার কথা চিন্তা করে কারাগারে ইয়াবা ও গাঁজাই বেশি বিক্রি হয়। এর বাইরে কারাগারের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পিয়াজের বস্তা, সবজির বস্তা, মরিচের বস্তাসহ বিভিন্ন পণ্যের বস্তার সঙ্গে ইয়াবা ও গাঁজা প্রবেশ করানো হয়। চাহিদা বেশি থাকায় কারাগারে এসব মাদক বেশি দামে বিক্রি করে অসাধু কারারক্ষী, কর্মকর্তা ও কিছু বন্দিরা লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে। কারা সূত্র বলছে, এতদিন কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রবেশ পথে লাগেজ স্ক্যানার ছিল, বডি স্ক্যানার ছিল না। তাই বডির সঙ্গে কৌশলে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশ করা যেত। কিন্তু কয়েকদিন আগে বডি স্ক্যানারও আনা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন কারাগারের ২৩ কারারক্ষীকে বিভিন্ন সময় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে অন্তত ২০০ গডফাদার মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের আবার প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক রয়েছে। সবমিলিয়ে সারা দেশে অন্তত ১ লাখ ৬৫ হাজার মাদক বিক্রেতা আছে। অনেক সময় অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দেয় আবার নতুন করে অনেকে ব্যবসায় যুক্ত হয়। এ হিসাবে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা আরো কম বেশি হতে পারে। তবে গডফাদাররা মাদকের যোগানদাতা হলেও পাইকারি ও খুচরা ১ লাখ ৬৫ হাজার মাদক ব্যবসায়ী সারা দেশে মাদকের বিস্তার ঘটায়। তাদেরকে ঘিরে আরো ছিঁঁচকে মাদক ব্যবসায়ীর  নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। সূত্র বলছে, সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন কৌশলে সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দেয়। পুলিশের, জেলা প্রশাসকের, রাজনৈতিক পরিচয় সংবলিত, অ্যাডভোকেট, চিকিৎসক স্টিকার লাগানো গাড়িতে মাদক বহন হচ্ছে। এছাড়া,  অ্যাম্বুলেন্স, ট্রেন, বিমান, মালবাহী গাড়ি দিয়ে চলে মাদক বহন। এর বাইরে সবজির বস্তায়, লাউ, মাছের ভেতর, পায়ুপথে আরো নানা কৌশলে মাদক পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করেই মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা করছে। খোদ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। মাদক পাচারের রুট: বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হওয়াতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিকভাবে গোল্ডেন ট্রায়াংগাল (মিয়ানমার, লাউস ও থাইল্যান্ড), গোল্ডেন ক্রিসেন্ট (আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান) ও গোল্ডেন ওয়েজ (নেপাল, ভুটান ও তিব্বত) এই তিন মাদক বলয়ের মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় মাদক ট্রাফিকিং রুট হিসেবে পরিচিত। দেশের ৩২ জেলা ও ১৩২টি উপজেলার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর জাদিরমুরা পয়েন্ট থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ইয়াবা পাচারের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত ক্রসিং পয়েন্ট। মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তে ৪৯টি ইয়াবার কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় তৈরি ইয়াবা দেশে পাচার করা হয়। পাচারকৃত ইয়াবার বেশির ভাগই নৌপথে নাফ নদ ও সমুদ্র উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ও কুতুবদিয়া চ্যানেল, টেকনাফ ও উখিয়া উপকূল, চট্টগ্রাম উপকূল, পটুয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে। মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী নৌকা, জাহাজ দিয়ে কৌশলে ইয়াবা আনা হয়। টেকনাফ ও উখিয়া হয়ে পাচারকৃত ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়া সড়ক ও মেরিন ড্রাইভ এলজিইডি সড়ক দিয়ে ইয়াবা পাচার হয়। এছাড়া দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা  ও ফেনী জেলার সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করে। ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার ও সীমান্তের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের  যোগসাজশে দেশে ইয়াবার চালান আনা হচ্ছে।

মাদকদ্রব্য ও নেশা প্রতিরোধ নিরোধ সংস্থা (মানস) সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য ড. অরূপ রতন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, মাদক বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে ২০০ গডফাদারের তালিকা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু মাদক আইনের দুর্বলতার কারণে এবং সাক্ষী প্রমাণ না থাকায় মামলা হয়নি। তারা জামিনে বের হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে দেশে মাদক আসছে। মিয়ানমার সীমান্তে ৪৯টি ইয়াবার কারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কারখানাগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ হিসেবে মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, খোদ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কারণে এসব কারখানা বন্ধ করা যাচ্ছে না। রক্ষক ভক্ষক হয়ে গেছে। তাই মাদক আইনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যকে আরো তৎপর হতে হবে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো শক্তিশালী ও তাদেরকে অস্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ করে দিতে হবে। এর বাইরে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ একজন ইয়াবাসেবী আরো দুজন ইয়াবাসেবী তৈরি করে। আর সরকারকে মাদক নির্মূলের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার মানবজমিনকে বলেন, মাদক নির্মূলে ডিএনসির তৎপরতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিদিনই ডিএনসির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কিন্তু আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে অনেক মাদক ব্যবসায়ী জামিনে বের হয়ে যায়। এছাড়া বর্তমান মাদক আইনে আসামির সাজা তেমন কঠিন নয়। তিনি বলেন, মাদক আইনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

এই আইনটি পাস হলে ডিএনসির ক্ষমতা আরো বাড়বে। এর বাইরে আমাদের অভিযানিক দলের কোনো অস্ত্র নাই। তাই ঝুঁকি নিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা হলে শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। নজরুল ইসলাম শিকদার আরো বলেন, মাদকের আগ্রাসন কমাতে ডিএনসির পাশাপাশি কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অনেক টিম। শুধু আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে পুরোপুরি মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status