অনলাইন
হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সেই রাজীব হোসেন মারা গেছেন
১৭ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
রাজধানী ঢাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেন রাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
তার মামা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতরাত সাড়ে বারোটার কিছু পরে ডাক্তার তাদের ডেকে বিষয়টি জানান এবং তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হবে কিনা সেটি জিজ্ঞেস করেন।
পরিবারের অনুমতিতে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত দশই এপ্রিল তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
এর পর থেকে তার আর জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থা শুরু থেকেই আশঙ্কাজনক ছিল। ঢাকার মহাখালী এলাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন এপ্রিলের চার তারিখ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাস সার্ভিস বিআরটিসির একটি বাসে চড়ে কলেজে যাচ্ছিলেন।রাজধানীর একটি অন্যতম প্রধান সড়কে সার্ক ফোয়ারার কাছে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বাসের সাথে রেষারেষির এক পর্যায়ে বাস দুটি একটি আরেকটির গাঁয়ে ঘষা খেতে শুরু করে।
দুটি বাসের প্রবল ঘষায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের হাত এবং বাসের দরজায় ঝুলে থাকে সেই হাতটি।
রাজীব রাস্তায় পড়ে যান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
যে কারণে এই ঘটনাটি বহু মানুষকে নাড়া দিয়েছে তা হল তার যে বিচ্ছিন্ন হাতটি দুই বাসের ফাঁকে ঝুলে ছিল, সেই হাতের একটি ছবি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষজনের নিরাপত্তাহীনতার একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে ছবিটি।
তাছাড়া এই ঘটনা আরো বেশি নাড়া দেয় অনেককে কারণ খুব ছোট বেলায় মাকে হারান রাজীব।
বাবাও নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এর পর থেকে ছোটো দুটি ভাই সহ আত্মীয়দের বাড়িতে বড় হয়েছে রাজীব হোসেন।
ছোট দুই ভাইকে সঠিক ভাবে মানুষ করার লক্ষ্য নিয়ে পড়াশুনা চালাচ্ছিলেন তিনি।
তার মামা জানিয়েছেন এখন পটুয়াখালীর বাউফলের গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
সূত্রঃ বিবিসি
তার মামা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতরাত সাড়ে বারোটার কিছু পরে ডাক্তার তাদের ডেকে বিষয়টি জানান এবং তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হবে কিনা সেটি জিজ্ঞেস করেন।
পরিবারের অনুমতিতে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত দশই এপ্রিল তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
এর পর থেকে তার আর জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থা শুরু থেকেই আশঙ্কাজনক ছিল। ঢাকার মহাখালী এলাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন এপ্রিলের চার তারিখ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাস সার্ভিস বিআরটিসির একটি বাসে চড়ে কলেজে যাচ্ছিলেন।রাজধানীর একটি অন্যতম প্রধান সড়কে সার্ক ফোয়ারার কাছে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বাসের সাথে রেষারেষির এক পর্যায়ে বাস দুটি একটি আরেকটির গাঁয়ে ঘষা খেতে শুরু করে।
দুটি বাসের প্রবল ঘষায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের হাত এবং বাসের দরজায় ঝুলে থাকে সেই হাতটি।
রাজীব রাস্তায় পড়ে যান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
যে কারণে এই ঘটনাটি বহু মানুষকে নাড়া দিয়েছে তা হল তার যে বিচ্ছিন্ন হাতটি দুই বাসের ফাঁকে ঝুলে ছিল, সেই হাতের একটি ছবি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষজনের নিরাপত্তাহীনতার একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে ছবিটি।
তাছাড়া এই ঘটনা আরো বেশি নাড়া দেয় অনেককে কারণ খুব ছোট বেলায় মাকে হারান রাজীব।
বাবাও নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এর পর থেকে ছোটো দুটি ভাই সহ আত্মীয়দের বাড়িতে বড় হয়েছে রাজীব হোসেন।
ছোট দুই ভাইকে সঠিক ভাবে মানুষ করার লক্ষ্য নিয়ে পড়াশুনা চালাচ্ছিলেন তিনি।
তার মামা জানিয়েছেন এখন পটুয়াখালীর বাউফলের গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
সূত্রঃ বিবিসি