এক্সক্লুসিভ
হাতিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু নিহত, বাবাও গুলিবিদ্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী ও হাতিয়া প্রতিনিধি:
১৭ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
হাতিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশুপুত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাবাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার রাতে হাতিয়া উপজেলার খবির মিয়ার বাজার সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে হাতিয়া রহমানিয়া মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র মিশকাতুর রহমান নীরব (১০) নিহত হয়েছে। এ সময় তার বাবা মিরাজ উদ্দিন (৪০)
পৃষ্ঠা ২০ কলাম ১
গুলিতে আহত হয়েছেন বলে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান শিকদার জানান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য ও অটোরিকশা চার্জকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার সময় স্থানীয় খবির মিয়ার বাজারে মিরাজের দোকানে হামলা চালায় কতিপয় সন্ত্রাসী। পরে সন্ত্রাসীদের ধাওয়ায় মিরাজ উদ্দিন নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্র মিশকাতুর রহমান নিরব (১০) ও তার বাবা মিরাজ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। রাতে নিরবকে প্রথমে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে নিরব এর মৃত্যু হয়। নিহত নিরবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান শিকদার মানবজমিনকে জানান, স্থানীয় খবির মিয়ার বাজারে অটোরিকশা চার্জের ব্যবসা করেন আহত মিরাজ উদ্দিন ও প্রতিপক্ষ জিন্নুর উদ্দিন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মিরাজের পরিবার সূত্রে উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি কামরুজ্জামান আরো বলেন, ইতিমধ্যে জিন্নুর উদ্দিন চাঁদার জন্য মিরাজ উদ্দিনকে হুমকি দিয়ে আসছিল এবং অটোরিকশা চার্জ বন্ধ রাখার জন্যও চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু অটোরিকশা চার্জ বন্ধ না করায় জিন্নুর এ আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ জিন্নুরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওসি জানান। অপর একটি সূত্র জানায়, হাতিয়ায় ইদানীং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি বাজারেই ২/৩টি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে। খবির মিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নুরের একটি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে। এরই মধ্যে নিহত মাদরাসা ছাত্র নিরবের পিতা বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মিরাজ উদ্দিন আরো একটি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র চালু করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব, কথাকাটাকাটি ও হুমকি-ধামকি চলে আসছিল। ঘটনার দিন জিন্নুর লোকজন নিয়ে মিরাজের উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালালে এ ঘটনা ঘটে।
পৃষ্ঠা ২০ কলাম ১
গুলিতে আহত হয়েছেন বলে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান শিকদার জানান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য ও অটোরিকশা চার্জকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার সময় স্থানীয় খবির মিয়ার বাজারে মিরাজের দোকানে হামলা চালায় কতিপয় সন্ত্রাসী। পরে সন্ত্রাসীদের ধাওয়ায় মিরাজ উদ্দিন নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্র মিশকাতুর রহমান নিরব (১০) ও তার বাবা মিরাজ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। রাতে নিরবকে প্রথমে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে নিরব এর মৃত্যু হয়। নিহত নিরবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান শিকদার মানবজমিনকে জানান, স্থানীয় খবির মিয়ার বাজারে অটোরিকশা চার্জের ব্যবসা করেন আহত মিরাজ উদ্দিন ও প্রতিপক্ষ জিন্নুর উদ্দিন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মিরাজের পরিবার সূত্রে উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি কামরুজ্জামান আরো বলেন, ইতিমধ্যে জিন্নুর উদ্দিন চাঁদার জন্য মিরাজ উদ্দিনকে হুমকি দিয়ে আসছিল এবং অটোরিকশা চার্জ বন্ধ রাখার জন্যও চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু অটোরিকশা চার্জ বন্ধ না করায় জিন্নুর এ আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ জিন্নুরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওসি জানান। অপর একটি সূত্র জানায়, হাতিয়ায় ইদানীং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি বাজারেই ২/৩টি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে। খবির মিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নুরের একটি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে। এরই মধ্যে নিহত মাদরাসা ছাত্র নিরবের পিতা বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মিরাজ উদ্দিন আরো একটি অটোরিকশা চার্জ ব্যবসা কেন্দ্র চালু করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব, কথাকাটাকাটি ও হুমকি-ধামকি চলে আসছিল। ঘটনার দিন জিন্নুর লোকজন নিয়ে মিরাজের উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালালে এ ঘটনা ঘটে।