বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে ট্রেনের টিকিট বিক্রি নিয়ে নতুন নির্দেশনা
বাড়বে বিড়ম্বনা
এম ইদ্রিস আলী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে রেলওয়ের মোট আসনের ৩০% এর বেশি স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু না করা এবং স্ট্যান্ডিং বা দাঁড়ানো টিকিটে কোচের নম্বর উল্লেখ করার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একই সঙ্গে ট্রেনের এক শ্রেণির যাত্রী যাতে অন্য শ্রেণিতে গিয়ে যাত্রীদের ভ্রমণে বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে পূর্বাঞ্চলীয় সকল স্টেশন মাস্টারদের কাছে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ট্রেনে যাত্রী বিড়ম্বনা আরো বাড়বে এবং স্টেশনে স্টেশনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিবে। এমনকি রেলওয়ের টিকিট বিক্রির আয় অনেকাংশ হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন এবং তা পরিমাপের নির্ধারক চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে গত ৫ই এপ্রিল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসিস্ট্যান্ট চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত স্বাক্ষরিত পাঠানো ওই পত্রের নির্দেশনায় একথা বলা হয়। এ লক্ষ্যে গত ১লা জানুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারগণ নতুন এই নির্দেশনা পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। সিলেট-ঢাকা রুটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টেশন মাস্টার তাদের নানা শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন- এমনিতেই স্টেশনে টিকিট সংকট রয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা অনুয়ায়ী টিকিট সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে স্টেশনে প্রায়শই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। এর মধ্যে আবার ট্রেনের মোট আসনের বিপরীতে ৩০ পারসেন্টের বেশি টিকিট বিক্রি না করার নির্দেশনা দেয়। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। তেমনিভাবে স্টেশনের কাউন্টারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আরো বেশি জন্ম দিতে পারে। স্টেশনভিত্তিক আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রী সংখ্যার হিসেবমতে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের গত মার্চ মাসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়,‘৭০৯নং আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনে শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে কুলাউড়া স্টেশনে শুধু শোভন চেয়ার সিটের বিপরীতে দৈনিক কোটা রয়েছে ৫টি। মাসিক কোটা ১৩৫টি। কিন্তু কোটাসহ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হয় ১১০০টি। অর্থাৎ টিকিট বিক্রির হার ৩১৪%। তাহলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০% বিক্রি করা হয় তাহলে দৈনিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে হবে ১টি। আর মাসে ৩টি। স্টেশন মাস্টারদের দাবি,স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে যাত্রী সাধারণ বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা আরো উৎসাহিত হবে এবং ট্রেনে কর্তব্যরত অসাধু কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করে লাভবান হবে। এবং রেলওয়ে টিকিট বিক্রি থেকে বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হবে। শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামগামী ৭২০নং পাহাড়িকা ট্রেনে কোটা রয়েছে দৈনিক ৫৫টি টিকিট। এ ট্রেনের মাসিক কোটা ১৪৩০টি। কিন্তু গত মার্চ মাসের হিসেব মতে শুধু বিক্রি হয় ২৮৪৯টি টিকিট। অর্থাৎ গত মার্চ মাসে কোটার চেয়ে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রয় হয় ১৪১৯টি। এক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা মেনে চলা হলে মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী ৯৬৪টি টিকিট কম বিক্রি হবে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার টাকার টিকিট বিক্রির আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
একইভাবে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকাগামী উপবন ট্রেনের শ্রীমঙ্গল স্টেশনের দৈনিক টিকিট কোটা ৩০টি। মাসিক কোটা ৯৩০টি। অথচ গত মার্চ মাসে বিক্রি হয় ১৪৫৬টি। সেক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যদি ৩০ পারসেন্ট বিক্রি করার নির্দেশনা মেনে চলা হয় তাহলে দৈনিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে হবে ৯টি। মাসিক ২৭০টি। অর্থাৎ এ নিয়মে ২৫৬টি টিকিট কম বিক্রয় হওয়ার ফলে উপবন ট্রেনের শুধু শোভন সিটের আয় থেকে রেলওয়ে বঞ্চিত হবে ৫১ হাজার ২০০ টাকা। শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে শ্রীমঙ্গল স্টেশনের দৈনিক কোটা রয়েছে শুধু শোভন সিটে ৪৫টি। এ আসনের মাসিক কোটা রয়েছে ১২১৫টি। অথচ গত মার্চ মাসে বিক্রি হয়েছে ২৪০৬টি। এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির নতুন নির্দেশনা মেনে বিক্রয় করলে ৮০০ টিকিট বিক্রয় কমবে। এর ফলে এ ট্রেনের শুধু মাত্র শোভন সিটে লোকসান দাঁড়াবে ২ লাখ টাকা। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন,‘স্ট্যান্ডিং টিকিট ৩০ পারসেন্ট বিক্রির নতুন নির্দেশনা পেলেও সফটওয়ার না আসায় এখনো কার্যকর হয়নি। হয়তো দুই তিনদিনের মধ্যে আসতে পারে। এ সংক্রান্ত সফটওয়ার আসলেই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে এক্ষেত্রে যাত্রী বিড়ম্বনা আরো বাড়বে এবং স্টেশনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিবে। এমনকি রেলওয়ের টিকিট বিক্রির আয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারগণ নতুন এই নির্দেশনা পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। সিলেট-ঢাকা রুটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টেশন মাস্টার তাদের নানা শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন- এমনিতেই স্টেশনে টিকিট সংকট রয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা অনুয়ায়ী টিকিট সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে স্টেশনে প্রায়শই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। এর মধ্যে আবার ট্রেনের মোট আসনের বিপরীতে ৩০ পারসেন্টের বেশি টিকিট বিক্রি না করার নির্দেশনা দেয়। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। তেমনিভাবে স্টেশনের কাউন্টারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আরো বেশি জন্ম দিতে পারে। স্টেশনভিত্তিক আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রী সংখ্যার হিসেবমতে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের গত মার্চ মাসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়,‘৭০৯নং আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনে শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে কুলাউড়া স্টেশনে শুধু শোভন চেয়ার সিটের বিপরীতে দৈনিক কোটা রয়েছে ৫টি। মাসিক কোটা ১৩৫টি। কিন্তু কোটাসহ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হয় ১১০০টি। অর্থাৎ টিকিট বিক্রির হার ৩১৪%। তাহলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০% বিক্রি করা হয় তাহলে দৈনিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে হবে ১টি। আর মাসে ৩টি। স্টেশন মাস্টারদের দাবি,স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে যাত্রী সাধারণ বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা আরো উৎসাহিত হবে এবং ট্রেনে কর্তব্যরত অসাধু কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করে লাভবান হবে। এবং রেলওয়ে টিকিট বিক্রি থেকে বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হবে। শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামগামী ৭২০নং পাহাড়িকা ট্রেনে কোটা রয়েছে দৈনিক ৫৫টি টিকিট। এ ট্রেনের মাসিক কোটা ১৪৩০টি। কিন্তু গত মার্চ মাসের হিসেব মতে শুধু বিক্রি হয় ২৮৪৯টি টিকিট। অর্থাৎ গত মার্চ মাসে কোটার চেয়ে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রয় হয় ১৪১৯টি। এক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা মেনে চলা হলে মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী ৯৬৪টি টিকিট কম বিক্রি হবে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ে ২ লাখ ৪১ হাজার টাকার টিকিট বিক্রির আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
একইভাবে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকাগামী উপবন ট্রেনের শ্রীমঙ্গল স্টেশনের দৈনিক টিকিট কোটা ৩০টি। মাসিক কোটা ৯৩০টি। অথচ গত মার্চ মাসে বিক্রি হয় ১৪৫৬টি। সেক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যদি ৩০ পারসেন্ট বিক্রি করার নির্দেশনা মেনে চলা হয় তাহলে দৈনিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে হবে ৯টি। মাসিক ২৭০টি। অর্থাৎ এ নিয়মে ২৫৬টি টিকিট কম বিক্রয় হওয়ার ফলে উপবন ট্রেনের শুধু শোভন সিটের আয় থেকে রেলওয়ে বঞ্চিত হবে ৫১ হাজার ২০০ টাকা। শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে শ্রীমঙ্গল স্টেশনের দৈনিক কোটা রয়েছে শুধু শোভন সিটে ৪৫টি। এ আসনের মাসিক কোটা রয়েছে ১২১৫টি। অথচ গত মার্চ মাসে বিক্রি হয়েছে ২৪০৬টি। এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির নতুন নির্দেশনা মেনে বিক্রয় করলে ৮০০ টিকিট বিক্রয় কমবে। এর ফলে এ ট্রেনের শুধু মাত্র শোভন সিটে লোকসান দাঁড়াবে ২ লাখ টাকা। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন,‘স্ট্যান্ডিং টিকিট ৩০ পারসেন্ট বিক্রির নতুন নির্দেশনা পেলেও সফটওয়ার না আসায় এখনো কার্যকর হয়নি। হয়তো দুই তিনদিনের মধ্যে আসতে পারে। এ সংক্রান্ত সফটওয়ার আসলেই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে এক্ষেত্রে যাত্রী বিড়ম্বনা আরো বাড়বে এবং স্টেশনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিবে। এমনকি রেলওয়ের টিকিট বিক্রির আয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।