বিশ্বজমিন

রোহিঙ্গা হত্যা: মিয়ানমারে ৭ সেনার জেল

মানবজমিন ডেস্ক

১১ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ১:২০ পূর্বাহ্ন

বিচার বহির্ভূতভাবে কমপক্ষে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যার দায়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে সাত সেনা সদস্যকে জেল দেয়া হয়েছে। গত বছর ২৫ শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো নিয়ে তোলপাড় হয় বিশ্ব। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, হত্যার প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করা হয়। এরপর মিয়ানমার স্বীকার করে অভিযোগ। তার বিচারে ওই সাত সেনা সদস্যকে কঠোরশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। মিয়ানমারের সেনা প্রধানের ফেসবুক পোস্টে মঙ্গলবার দিনশেষে এ কথা জানানো হয়েছে। লাইনে দাঁড় করিয়ে গত ২রা সেপ্টেম্বর ইন ডিন গ্রামে হত্যা করা হয় ওই ১০ রোহিঙ্গাকে। প্রামাণ্য আকারে এ তথ্য হাজির করার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দায় স্বীকার করে। ওদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে তদন্তকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দু’সাংবাদিক মিয়ানমারের নাগরিক ওয়া লোন (৩১) ও কাইওয়া সোয়ে ও (২৭)কে গ্রেপ্তার করে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত করা হলে তাদেরকে ১৪ বছর করে জেল দেয়া হতে পারে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের এক মাস পরে সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দেয়। তারা তাতে স্বীকার করে নেয় যে, ইন ডিন গ্রামে হত্যাকান্ডের জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের কিছু সদস্য জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে যথারীতি কোনো অন্যায়ের কথা অস্বীকার করে আসছে সেনাবাহিনী। তারা রোহিঙ্গাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে। তবে রোহিঙ্গারা যে সন্ত্রাসী এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ সামনে আনে নি তারা। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে চারজন সেনা কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বাকি তিনজন সেনা সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাদেরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে ক্রিমিনাল প্রিজনে পাঠানো হয়েছে। রুদ্ধদ্বার বিচারে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status