ভারত
বাংলাদেশি বন্দীর মৃত্যুর চার বছর পর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের
কলকাতা প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের জেলে থাকা এক বাংলাদেশি বন্দীর মৃত্যুর চার বছর পর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যাান সাবেক বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্তের নেতৃত্বধীন বেঞ্চ বিস্তারিত তদন্তের পর রাজ্য সরকারের কাছে সিআইডি তদন্তের সুপারিশ করেছে। বলা হয়েছে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করতে হবে। সেইসঙ্গে যে পুলিশ অফিসার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং যে চিকিৎসক প্রথম তাকে দেখেছিল তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আলামিন সর্দার নামে সাতক্ষীরার ২২ বছরের যুবককে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২০১৪ সালেল ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করেছিল হাসনাবাদ থানা। নিয়ম অনুযায়ী যুবকটির মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে আদালতের নির্দেশে বসিরহাট জেলে পাঠানো হয়েছিল। চিকিৎসক সে সময় যুবকটির কোনও অসুষ্থতার কথা জানান নি। কিন্তু জেলে পৌঁছানোর পরই যুবকটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরদিন আসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু চিকিৎসায় তার কোনও উন্নতি হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে সে মারা গিয়েছিল। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই বন্দী মৃত্যুর বিস্তারিত রিপোর্ট চেযে পাঠিয়েছিল। সেই রিপোর্ট পেয়ে কমিশন সন্তুষ্ট হয়নি। বরং তারা নিজেরাই তদন্ত শুরু করেছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে কমিশন জানতে পেরেছিল বন্ধীর মাথায় গুরুতর চোট ছিল। কিন্তু চোট লেগেছিল কি করে তাই নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছে। সেই ধন্ধের অনুসন্ধান করেতই সিআইডি তদন্তের সুপারিশ বলে জানা গেছে। কমিশনের তদন্তে অবশ্য বন্দীকে পুলিশের মারধরে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি বলে জানানো হয়েছে। কমিশন মনে করেছে, এ ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার এবঙ চিকিৎসকের যথেষ্ট গাফিলতি ছিল।