ভারত
শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন আটকে আছে প্রটোকল জটিলতায়
কলকাতা প্রতিনিধি
২৬ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৩:০১ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর দেয়া জমিতে ২৫ কোটি রুপি ব্যায়ে বাংলাদেশ ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলেও তার উদ্বোধন আটকে রয়েছে প্রটোকলের জটিলতায়। বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য কিছুদিন আগেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ভবনের উদ্বোধন করার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু প্রটোকল অনুযায়ী এখনই শেখ হাসিনার ভারত সফর সম্ভব নয়। ২০১৭ সালে শেষ ভারত সফরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। এবার প্রটোকল মেনে ঢাকা যাওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই সফর না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার পক্ষে ভারতে আসাটা প্রটোকলে আটকায় বলে জানিয়েছেন কূটনৈতিক মহল। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে এই ভবনের উদ্বোধন সম্ভব হবে না। রবীন্দ্রনাথের তৈরি বিশ্বভারতীতে চীনা ভবন ও নিপ্পন ভবন রয়েছে। এই ধরণের ভবনের অনুকরণে স্থায়ী বাংলাদেশ ভবন তৈরির সিদ্ধান্তটি শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ই পাকা হয়েছিল। এরপর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারকও সাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভবনের জন্য বিশ্বভারতী জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার অর্থের সংস্থান করেছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতির তৈরি নকশা অনুযায়ী বাড়িটি তৈরি করেছে ভারত সরকারের ন্যাশনাল বিল্ডিংস করপোরেশন। এই বাড়িতে একটি প্রেক্ষাগৃহ, একটি অডিটোরিয়াম ছাড়া থাকবে ডিজিটাল মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণাগার, স্টুডিও, রেকর্ড রুম ও একটি গ্যালারি। রবীন্দ্রনাথ-শেখ মুজিবুর রহমানের মতো ব্যক্তিত্বদের কর্মকা-, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বাংলাদেশ ও ভারতের সাং¯কৃতিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষনাধর্মী কাজ হবে এই বাংলাদেশ ভবনে। ছবির গ্যালারিতে ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে (দ্বারকানাথ থেকে রবীন্দ্রনাথ) বাংলাদেশের সম্পর্ক ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। ঠাকুর পরিবারের জমিদারির একটি অংশ ছিল বাংলাদেশে। সেই জমিদারি দেখাশোনার কাজে রবীন্দ্রনাথ জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন শিলাইদহ সহ বিভিন্ন জায়গায়। পদ্মার বোটে বসে লিখেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা।