অনলাইন

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, সালিশে সংঘর্ষ

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

ঢাকার ধামরাইয়ে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক বসে শুক্রবার রাতে। এসময় ধর্ষক ও তারা স্বজনরা ধর্ষিতা পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সালিশ বানচাল করে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় মাতব্বরসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের ঈশান নগর গ্রামে। ধর্ষণকারী আলামীন (১৮) একই গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
সরেজমিনের গিয়ে ধর্ষিতা, তার স্বজন ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সূয়াপুর ইউনিয়নের দেলধা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী (১৩) বুধবার দুপুরে বাড়ীতে একা ছিলেন। এসময় আলামীন ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আকস্মিকভাবে ওই ছাত্রীর মা ঘরে ঢোকে। ওইসময় দৌড়ে পালিয়ে যায় আল আমিন। এ নিয়ে গত শুক্রবার রাতে গ্রাম্য সালিশ বসে। এসময় আলামীনের ভগ্নীপতি আক্তার হোসেন, সেলিম হোসেন, চাচা নায়েব আলী, বকস মিয়া, আলামীনের বাবা খোরশেদ আলমসহ তার স্বজনরা ধর্ষিতার স্বজনদের উপর হামলা চালায়। এসময় আহত হয় ইমরান, রফিক, রাজু, ওয়াসিম, সাকিব ও শহিদুল। ধর্ষিতার মা জানায় আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে পরের বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালাই। এখন আমার মেয়ের ইজ্জত লুটে নেওয়া আলামীন ও তার স্বজনদের ভয়ে আছি কখন হামলা চালায় আমাদের ওপর। সূয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রাম্য সালিশে প্রকাশ্যে ধর্ষক আলামীন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

[এফএম]
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status