বাংলারজমিন
স্কুলের জায়গায় দোকান নির্মাণ
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। স্কুলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ভুলু মোল্যা এবং অন্যজন পলাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আউব হোসেন। গতকাল দুপুরে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, স্কুল মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে বাজার সংলগ্ন সীমানায় বৃহৎ আকৃতির দুটি টিনশেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ঘরে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতে দেখা গেছে অন্যটি ছিল বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্কুলের জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরা আসপিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, স্থাপনা সরিয়ে নিতে মৌখিকভাবে তাদের বারবার নিষেধ করে ব্যর্থ হয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। এ সময় এ বিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যালয়ের মোট সম্পত্তি ১২১ শতাংশ কিন্তু দখলে আছে মাত্র ১৩ শতাংশ। কিন্তু বাকি সম্পত্তি কাদের দখলে তা জানাতে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শ্যামল কুমার স্কুল মাঠের প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে গাছ লাগিয়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখল করে আছেন। তবে এটা তার নিজের সম্পত্তি বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাকী বিল্লাহ জানান, রাতের অন্ধকারে স্থানীয় দুই ব্যক্তি প্রভাবশালীদের সহায়তায় স্কুলের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আমার গত সপ্তাহে মিটিং করে স্থাপনা তুলে দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অনুরোধ করেছি।
অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের যায়গা দখলকারী মো. ভুলু মোল্যা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফিরোজ এলাহী মিন্টুর সঙ্গে কথা বলে আমি ওখানে দোকান ঘর তুলেছি। তবে ফিরোজ এলাহি মিন্টু এ কথা অস্বীকার করেন। আরেকজন দখলকারী আউব হোসেন বলেন, আমি অস্থায়ীভাবে ওখানে একটি দোকান ঘর তুলেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বললে সরিয়ে নেব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরা আসপিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, স্থাপনা সরিয়ে নিতে মৌখিকভাবে তাদের বারবার নিষেধ করে ব্যর্থ হয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। এ সময় এ বিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যালয়ের মোট সম্পত্তি ১২১ শতাংশ কিন্তু দখলে আছে মাত্র ১৩ শতাংশ। কিন্তু বাকি সম্পত্তি কাদের দখলে তা জানাতে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শ্যামল কুমার স্কুল মাঠের প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে গাছ লাগিয়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখল করে আছেন। তবে এটা তার নিজের সম্পত্তি বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাকী বিল্লাহ জানান, রাতের অন্ধকারে স্থানীয় দুই ব্যক্তি প্রভাবশালীদের সহায়তায় স্কুলের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আমার গত সপ্তাহে মিটিং করে স্থাপনা তুলে দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অনুরোধ করেছি।
অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের যায়গা দখলকারী মো. ভুলু মোল্যা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফিরোজ এলাহী মিন্টুর সঙ্গে কথা বলে আমি ওখানে দোকান ঘর তুলেছি। তবে ফিরোজ এলাহি মিন্টু এ কথা অস্বীকার করেন। আরেকজন দখলকারী আউব হোসেন বলেন, আমি অস্থায়ীভাবে ওখানে একটি দোকান ঘর তুলেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বললে সরিয়ে নেব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।