এক্সক্লুসিভ

বরিশাল-৫

কে পাচ্ছেন নৌকার টিকিট

জিয়া শাহীন, বরিশাল থেকে

২১ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের একক প্রার্থীর ব্যাপারে একমত পোষণ করলেও সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন একাধিক প্রার্থী। কেন্দ্র থেকেও আকার ইঙ্গিতে প্রার্থী পরিবর্তনের চিন্তাভাবনার কথা প্রকাশ করলে মাঠে নেমে পড়েন একাধিক নেতা। এর মধ্যে কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম, মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, খান মামুন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুর কথা শোনা গেলেও তিনি মুখ খুলছেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এদের কাউকেই প্রার্থী হিসেবে দেখা নাও যেতে পারে। দলীয় একাধিক সূত্রমতে বর্তমান সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের প্রার্থিতা বহাল থাকতে পারে। আর তাকে পরিবর্তন করা হলে দেখা যেতে পারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে। আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে এমপি হন। তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ। হিরণ বেঁচে থাকাকালীন বরিশাল আওয়ামী লীগ দু’ভাগে বিভক্ত ছিল। একটির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি নিজে। অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ইতিমধ্যে হাসানাত পুত্র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ মাঠ গুছিয়ে ফেলেন। সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন। মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন তাকে। এমনকি হিরণপত্নি, জেবুন্নেছা আফরোজ এমপিও তাকে মেয়র পদে সমর্থন দিয়েছেন। তাই এই পদে এখন বিকল্প কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ভিন্ন একটি বলয় গড়তে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা তৃণমূলে সমর্থন পায়নি। এখন সংসদ সদস্যের দিকে তার নজর। ঢাকা নিবাসী এই নেতা মাঝে মধ্যে বরিশাল এলেও নেতাকর্মীদের মন জয় করতে এখনো তাকে পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছে। খান মামুন-এর আগে ২০১৩ সালের মেয়র নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ তখন পরাজিত হন। মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির আহসান হাবিব কামাল। সে কারণে মামুনের প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরূপ একটি ধারণা রয়েছে। কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিমের মতো মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রমও বরিশালে নিয়মিত নন। এর আগে তিনি অন্যত্র থেকে মনোনয়ন নিয়ে পরাজিত হন। তাই এক্ষেত্রে ভাগ্য খুলতে পারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের। ২০১৬ সালের অক্টোবরে কমিটি গঠনের পর দিনরাত পরিশ্রম করে বহু বিভক্ত দলটিকে এক সুতোয় বেঁধেছেন তিনি এবং সাদিক আবদুল্লাহ। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা দুলালের গ্রহণ যোগ্যতা তৃণমূলে ব্যাপক। আর একারণে যদি জেবুন্নেছা আফরোজ মনোনয়ন না পান তবে অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা। অ্যাডভোকেট দুলাল বলেছেন, মনোনয়ন নিয়ে তিনি কখনই চিন্তা করেননি। দলটিকে একটি শক্ত অবস্থানে নেয়ার জন্য সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বরিশাল আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করতে পারলেই তিনি খুশি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status