বাংলারজমিন
১১ বছরেও নির্মাণ হয়নি তেঁতুলবাড়িয়া স্থায়ী বেড়িবাঁধ
তালতলী (বরগুনা) থেকে সংবাদদাতা
২০ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
তালতলীতে এক সময় ফসলে পরিপূর্ণ থাকতো তেঁতুলবাড়িয়া কৃষিজমি। কিন্তু সিডরে বেড়িবাঁধ ভাঙার পর থেকে এখানে চাষাবাদ বন্ধ। এরপরে বহু কষ্টে যা কিছু ফসল ফলাই তাও এবার জোয়ারের পানিতে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছেÑ অশ্রুশিক্ত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন, স্থানীয় কৃষক কবির মিয়া। এমন বোবাকান্না উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার শত শত কৃষক ও ঘড়বাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত মানুষের। জেলার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া বেড়িবাঁধটি ১১ বছরেও স্থায়ীভাবে নির্মাণ হয়নি। ফলে বিপৎসীমার মধ্যে বসবাস করছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।
স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে সামান্য পানি বাড়লেই প্লাবিত হয় তিনটি গ্রামের চার শতাধিক ঘরবাড়ি।
লবণ-পানিতে বার বার প্লাবিত হওয়ায় নষ্ট হয়ে যায় ফসলি জমির গুণাগুণ। এতে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তেঁতুলবাড়িয়ার বাঁধের বেশকিছু জায়গা ভেঙে যায়। এরপর নদীর অনবরত ভাঙনে বাঁধটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন প্রতি মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় নদীর বাড়তি জোয়ারের পানিতে চার থেকে পাঁচদিন ধরে প্লাবিত থাকে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট। বন্ধ হয়ে যায় রান্না-খাওয়া, দুর্ভোগের শেষ থাকে না এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ভুক্তভুগি মো. জলিল মাঝি জানান, গত ৪ বছর আগে একবার বেড়িবাঁধটির সংস্কারের কাজ শুরু করলেও শেষ করার আগেই তা আবার ভেঙে যায় নদীগর্ভে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের তেমন স্থায়ী সংস্কার করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সবাই এসে আশ্বাস দেয় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। প্রতিদিন আমরা পানি ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারি না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ দরকার তেমন বরাদ্দ আসছে না। যা বরাদ্দ আসে তা বরগুনার অনেক জায়গায় ভাঙন সংস্কার করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের আর কোনো বারাদ্দ নেই। তবে স্থায়ী ভাঙন রোধে কোনো বরাদ্দ আসলে আমরা কাজ করবো।
স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে সামান্য পানি বাড়লেই প্লাবিত হয় তিনটি গ্রামের চার শতাধিক ঘরবাড়ি।
লবণ-পানিতে বার বার প্লাবিত হওয়ায় নষ্ট হয়ে যায় ফসলি জমির গুণাগুণ। এতে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তেঁতুলবাড়িয়ার বাঁধের বেশকিছু জায়গা ভেঙে যায়। এরপর নদীর অনবরত ভাঙনে বাঁধটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন প্রতি মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় নদীর বাড়তি জোয়ারের পানিতে চার থেকে পাঁচদিন ধরে প্লাবিত থাকে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট। বন্ধ হয়ে যায় রান্না-খাওয়া, দুর্ভোগের শেষ থাকে না এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ভুক্তভুগি মো. জলিল মাঝি জানান, গত ৪ বছর আগে একবার বেড়িবাঁধটির সংস্কারের কাজ শুরু করলেও শেষ করার আগেই তা আবার ভেঙে যায় নদীগর্ভে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের তেমন স্থায়ী সংস্কার করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সবাই এসে আশ্বাস দেয় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। প্রতিদিন আমরা পানি ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারি না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ দরকার তেমন বরাদ্দ আসছে না। যা বরাদ্দ আসে তা বরগুনার অনেক জায়গায় ভাঙন সংস্কার করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের আর কোনো বারাদ্দ নেই। তবে স্থায়ী ভাঙন রোধে কোনো বরাদ্দ আসলে আমরা কাজ করবো।