বাদ পড়লেন অনুশীলন করা আট ফুটবলার, আবাহনীর সাত ফুটবলারকে নিলেন অর্ড

এএফসি কাপের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলো না আবাহনীর কোনো ফুটবলার। তাদের ছাড়াই কাতারে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। কাতার থেকে ফেরার পর দলের সঙ্গে যোগ দেন আবাহনীর ৮ ফুটবলার। অর্ডের অধীনে মাত্র দুটি সেশনে অনুশীলন করার সুযোগ পান মামুন-সোহেল রানারা। মাত্র দুটি প্র্যাকটিস সেশনেই আটজনের মধ্য থেকে সাতজন বেছে নিয়েছেন অ্যান্ডু্র অর্ড। সোহেল রানা চোটের কারণে বাদ। এই সাতজনকে সুযোগ দিতে ছেঁটে ফেলতে হয়েছে এক মাস অনুশীলন করা ৮ ফুটবলারকে। আবাহনীর শহিদুল আলম সোহেল, ওয়ালি ফয়সাল, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মামুন মিয়া, টুটুল হোসেন বাদশা, সাদ উদ্দিন ও নাবীব নেওয়াজ জীবন দলে ঢোকায় কপাল পুড়েছে গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম, ডিফেন্ডার মনজুর রহমান মানিক, সাদ্দাম হোসেন অ্যানি, নুরুল নাইম ফয়সাল, সুশান্ত ত্রিপুরা, মিডফিল্ডার মোহাম্মদ স্বাধীন, রহিম উদ্দিন ও ইব্রাহিমের।
এদের দলে নেয়ার প্রসঙ্গে অর্ড বলেন, আমি ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে আবাহনীর ম্যাচটি দেখেছি। ওই ম্যাচ দেখেই আমি ওদের নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোহেল রানা ফিট থাকলে হয়তো ওকেও নিতাম। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে ফুটবলারদের ক্যাম্প শুরু হয়েছিল ১৩ই ফেব্রুয়ারি বিকেএসপিতে। তারপর ২৪ ফুটবলার নিয়ে দুই সপ্তাহ ক্যাম্প করেছেন অ্যান্ড্রু অর্ড। ২৭শে মার্চ লাওসে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে গতকাল দুপুরে ঢাকা ছেড়েছে জাতীয় ফুটবল দল। যাওয়ার আগে এক সপ্তাহ থাইল্যান্ডে অনুশীলনের পাশাপাশি স্থানীয় দুটি ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
লাওসগামী বাংলাদেশ ফুটবল দল
শহিদুল আলম সোহেল, আনিসুর রহমান জিকু, আশরাফুল ইসলাম রানা, উত্তম কুমার বণিক, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, ওয়ালি ফয়সাল, মামুন মিয়া, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, টুটুল হোসেন বাদশা, মামুনুল ইসলাম মামুন, ফয়সাল মাহমুদ, আলী হোসেন, জামাল ভূঁইয়া, মাসুক মিয়া জনি, সাদ উদ্দিন, আবদুল্লাহ, বিপলু আহমেদ, আবু সুফিয়ান সুফিল, জাফর ইকবাল, নাবীব নেওয়াজ জীবন এবং তৌহিদুল আলম সবুজ।