বাংলারজমিন
আঙ্গুল কাটা শিশুর দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
তাহিরপুরে প্রকল্প কমিটির সভাপতি (পিআইসি) ও যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদের বর্বরতার শিকার প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া সাত বছরের শিশু ইয়াহিনের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। গতকাল দৈনিক মানবজমিনে খবর প্রকাশের পর রোববার রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে এবং তাকে দেখতে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সুপার। মানসিক বিপর্যস্ত মায়ের পাশে হাসপাতাল বেডে শয্যাশায়ী শিশু ইয়াহিনের মুখে পুলিশ সুপার শনিবার তার ওপর চালানো নির্যাতনের ঘটনা শুনে শিশুটিকে তিনি সান্ত্বনা দেন।
শিশু ইয়াহিন জানায়, শনিবার বিকেলে হাওর রক্ষা বাঁধে খেলার ছলে সহপাঠীদের নিয়ে গড়াগড়ি দিচ্ছিল। এ ঘটনা দেখে ফেলেন অদুদ। তখন শিশুদের ধাওয়া করার এক পর্যায়ে অন্যরা দৌড়ে পালাতে পরলেও তাকে (ইয়াহিনকে) ধরে ফেলে প্রথমে কয়েকবার মাটিতে আছড়ে ফেলে। এরপর ধান কাটার কাঁচি দিয়ে তার হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দেয়। অবুঝ শিশুর মুখে এমন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা শুনে হাসপাতালে থাকা অন্য রোগী, তাদের স্বজন, গণমাধ্যমকর্মী এমনকি পুলিশ সুপার ও তার সহকর্মীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পুলিশ সুপার শিশু ইয়াহিন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়ে তার মা দিলরাজ বেগমের হাতে প্রাথমিক অনুদান হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা, নতুন জামা কাপড় ও ফলের ব্যাগ তুলে দেন।
এ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনসহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় শিশুর ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানার ওসির মাধ্যমে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পুলিশের আইজিপি ড. জাভেদ হোসেন পাটোয়ারী, সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান পিপিএম ও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার দায়িত্বশীলরা খোঁজখবর নেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় অন্য সবার মতো পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও মর্মাহত। অদুদ যে লীগই হওক আর যতবড় প্রভাবশালীই হওক না কেন তাকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।
রোববার রাতে জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের একাধিক কালেক্টর, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন সংস্থা, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও সদর হাসপাতালে শিশু ইয়াহিনকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শিশু ইয়াহিন জানায়, শনিবার বিকেলে হাওর রক্ষা বাঁধে খেলার ছলে সহপাঠীদের নিয়ে গড়াগড়ি দিচ্ছিল। এ ঘটনা দেখে ফেলেন অদুদ। তখন শিশুদের ধাওয়া করার এক পর্যায়ে অন্যরা দৌড়ে পালাতে পরলেও তাকে (ইয়াহিনকে) ধরে ফেলে প্রথমে কয়েকবার মাটিতে আছড়ে ফেলে। এরপর ধান কাটার কাঁচি দিয়ে তার হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দেয়। অবুঝ শিশুর মুখে এমন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা শুনে হাসপাতালে থাকা অন্য রোগী, তাদের স্বজন, গণমাধ্যমকর্মী এমনকি পুলিশ সুপার ও তার সহকর্মীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পুলিশ সুপার শিশু ইয়াহিন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়ে তার মা দিলরাজ বেগমের হাতে প্রাথমিক অনুদান হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা, নতুন জামা কাপড় ও ফলের ব্যাগ তুলে দেন।
এ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনসহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় শিশুর ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানার ওসির মাধ্যমে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পুলিশের আইজিপি ড. জাভেদ হোসেন পাটোয়ারী, সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান পিপিএম ও একাধিক মানবাধিকার সংস্থার দায়িত্বশীলরা খোঁজখবর নেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় অন্য সবার মতো পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও মর্মাহত। অদুদ যে লীগই হওক আর যতবড় প্রভাবশালীই হওক না কেন তাকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।
রোববার রাতে জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের একাধিক কালেক্টর, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন সংস্থা, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও সদর হাসপাতালে শিশু ইয়াহিনকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।