খেলা
খেলাঘর চমকে আক্রান্ত প্রাইম ব্যাংকও
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ম্যাচসেরা অমিত মজুমদার
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। আসরে শক্তিশালী দল প্রাইম ব্যাংককে নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে নাটকীয় ভাবে দুই উইকেটে হারিয়েছে দলটি। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে খেলাঘর উঠে এসেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে হেরে গিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সুপার লীগে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। তবে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্টের সুবাদে তাদের রেলিগেশন লীগে খেলতে হচ্ছে না। বিকেএসপি-৩ মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৬১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় প্রাইম ব্যাংক। জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৩ রানে দুই উইকেট হারালেও অমিত মজুমদার ও অশোক মেনারিয়ার ফিফটিতে ভর করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে দলটি। ৭১ রান করে অধিনায়ক অমিত হয়েছেন ম্যাচসেরা।
২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি খেলাঘরের। দলীয় ৯ ও ২৩ রানের সময় দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমান ফিরে যান সাজঘরে। অন্যতম ব্যাটিং ভরসা রবি ৮ রানে আউট হলে দলের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দিহান ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে অধিনায়ক অমিত তার পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে ভুল নয় তা প্রমাণ করতেই যেন মরিয়া হয়ে ওঠেন। সঙ্গী হিসেবে পান মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান রাফসান আল মাহমুদকে। তবে রাফসান অধিনায়কের সঙ্গে ৪০ রানের অবদান রেখে আউট হলে ফের বিপদে পড়ে দল। কিন্তু দলের বিদেশি ক্রিকেটার অশোক মেনারিয়া যেন প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। দলের ১৭৬ রানের সময় হাল ছাড়েন অধিনায়ক। ৯৯ বল খেলে ৭টি চারে দলের সর্বোচ্চ ইনিংস সাজান তিনি। এরপর ৬৩ রান করে দলকে জয়ের পথ দেখান মেনারিয়া। কিন্তু দলের স্কোর বোর্ড ২১০ রান ছুঁতেই আউট হন তিনি। এ দু’জনের বিদায়ে দল যখন বিপদে তখন কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান মইনুল ইসলাম। এরপরে ২১ রানের ছোট অবদান রাখেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে জয়ের জন্য আসল লড়াইটি করেন মাসুম খান।
বিশেষ করে শেষ ওভারে দলের যখন প্রয়োজন ৬ বলে ১২ রান। তখন দেলোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় বলেই আউট হন মোহাম্মদ সাদ্দাম। পরের বলে মাসুম নেন ২ রান। এর পরের বলে হাঁকান চারের মার। এর পরের বলেও ২ রান নিয়ে জয়ের কাছাকাছি চলে যান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু মাসুম কোনো ভুল না করে চারের মার হাঁকিয়ে দলকে জয় উপহার দেন। সেই সঙ্গে এনে দেন প্রথমবার সুপার লীগে খেলার টিকিটও। ২৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসুম।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ২১ রানেই হারায় প্রথম দুই উইকেট। তবে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ আল আমিন। কিন্তু শেষ বেলাতে তাকে পুড়তে হয়েছে আক্ষেপেও। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রানে দূরে আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৯৪ রান। দলের ১৯১ রানের সময় আউট হলেও শেষ দিকে অধিনায়ক মনির ২১ ও শফিউল ইসলাম ২২ রান করে দলকে আড়াইশর কোটা পার করেন। শেষ পর্যন্ত ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় দল। খেলাঘরের পক্ষে ৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাদ্দাম।
খেলাঘরের ৭ জয়
গাজী ক্রিকেটার্স: ৫ উইকেটে, বিকেএসপি
অগ্রণী ব্যাংক: ৭ উইকেটে, ফতুল্লা
কলাবাগান কেসি: ১৫ রানে, মিরপুর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৩ উইকেটে, ফতুল্লা
শেখ জামাল ধানমন্ডি: ৪ উইকেটে, মিরপুর
মোহামেডান: ৬ উইকেটে, মিরপুর
প্রাইম ব্যাংক: ২ উইকেটে, বিকেএসপি-৩
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক- খেলাঘর (বিকেএসপি-৩)
টস: খেলাঘর (ফিল্ডিং)
প্রাইম ব্যাংক: ৫০ ওভারে ২৬১ (আল আমিন ৯৪, মেহেরাব জুনিয়র ৩৭, নাহিদুল ইসলাম ২৮, মনির ২১, শফিউল ২২, সাদ্দাম ৪/৫৮, তানভির ইসলাম ৩/২৮) খেলাঘর: ৫০ ওভারে ২৬৩/৮ (অমিত মজুমদার ৭১, অশোক মেনারিয়া ৬৩, মাসুম খান ৩৬*, শফিউল ৪/৫০)
ফল: খেলাঘর ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: অমিত মজুমদার
২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি খেলাঘরের। দলীয় ৯ ও ২৩ রানের সময় দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমান ফিরে যান সাজঘরে। অন্যতম ব্যাটিং ভরসা রবি ৮ রানে আউট হলে দলের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দিহান ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে অধিনায়ক অমিত তার পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে ভুল নয় তা প্রমাণ করতেই যেন মরিয়া হয়ে ওঠেন। সঙ্গী হিসেবে পান মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান রাফসান আল মাহমুদকে। তবে রাফসান অধিনায়কের সঙ্গে ৪০ রানের অবদান রেখে আউট হলে ফের বিপদে পড়ে দল। কিন্তু দলের বিদেশি ক্রিকেটার অশোক মেনারিয়া যেন প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। দলের ১৭৬ রানের সময় হাল ছাড়েন অধিনায়ক। ৯৯ বল খেলে ৭টি চারে দলের সর্বোচ্চ ইনিংস সাজান তিনি। এরপর ৬৩ রান করে দলকে জয়ের পথ দেখান মেনারিয়া। কিন্তু দলের স্কোর বোর্ড ২১০ রান ছুঁতেই আউট হন তিনি। এ দু’জনের বিদায়ে দল যখন বিপদে তখন কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান মইনুল ইসলাম। এরপরে ২১ রানের ছোট অবদান রাখেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে জয়ের জন্য আসল লড়াইটি করেন মাসুম খান।
বিশেষ করে শেষ ওভারে দলের যখন প্রয়োজন ৬ বলে ১২ রান। তখন দেলোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় বলেই আউট হন মোহাম্মদ সাদ্দাম। পরের বলে মাসুম নেন ২ রান। এর পরের বলে হাঁকান চারের মার। এর পরের বলেও ২ রান নিয়ে জয়ের কাছাকাছি চলে যান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু মাসুম কোনো ভুল না করে চারের মার হাঁকিয়ে দলকে জয় উপহার দেন। সেই সঙ্গে এনে দেন প্রথমবার সুপার লীগে খেলার টিকিটও। ২৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসুম।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ২১ রানেই হারায় প্রথম দুই উইকেট। তবে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ আল আমিন। কিন্তু শেষ বেলাতে তাকে পুড়তে হয়েছে আক্ষেপেও। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রানে দূরে আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৯৪ রান। দলের ১৯১ রানের সময় আউট হলেও শেষ দিকে অধিনায়ক মনির ২১ ও শফিউল ইসলাম ২২ রান করে দলকে আড়াইশর কোটা পার করেন। শেষ পর্যন্ত ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় দল। খেলাঘরের পক্ষে ৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাদ্দাম।
খেলাঘরের ৭ জয়
গাজী ক্রিকেটার্স: ৫ উইকেটে, বিকেএসপি
অগ্রণী ব্যাংক: ৭ উইকেটে, ফতুল্লা
কলাবাগান কেসি: ১৫ রানে, মিরপুর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৩ উইকেটে, ফতুল্লা
শেখ জামাল ধানমন্ডি: ৪ উইকেটে, মিরপুর
মোহামেডান: ৬ উইকেটে, মিরপুর
প্রাইম ব্যাংক: ২ উইকেটে, বিকেএসপি-৩
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক- খেলাঘর (বিকেএসপি-৩)
টস: খেলাঘর (ফিল্ডিং)
প্রাইম ব্যাংক: ৫০ ওভারে ২৬১ (আল আমিন ৯৪, মেহেরাব জুনিয়র ৩৭, নাহিদুল ইসলাম ২৮, মনির ২১, শফিউল ২২, সাদ্দাম ৪/৫৮, তানভির ইসলাম ৩/২৮) খেলাঘর: ৫০ ওভারে ২৬৩/৮ (অমিত মজুমদার ৭১, অশোক মেনারিয়া ৬৩, মাসুম খান ৩৬*, শফিউল ৪/৫০)
ফল: খেলাঘর ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: অমিত মজুমদার