বাংলারজমিন
’৭৪-এ জন্ম নেয়া হানিফ মুক্তিযোদ্ধা
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৯ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
নবীনগরের কাইতলা গ্রামের আবদুর রহমানের (রাডু) ছেলে আবু হানিফের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১০ই মার্চ। কিন্তু এই হানিফই এখন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তিনি। নিজের সন্তানদের সরকারি চাকরিও বাগিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। তার এই কাণ্ডে এরআগে মামলা হয়। আর গতকাল সংবাদ সম্মেলন করা হয় তার শাস্তির দাবিতে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের এই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় স্বাধীনতার পর জন্মগ্রহণ করেও জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠিয়েছে কাইতলা গ্রামের আবু হানিফ। জালজালিয়াতি ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে হানিফ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা দেখা দিয়েছে। আরো অভিযোগ করা হয় হানিফের বিষয়ে অনেক তদন্তে তার জালজালিয়াতি ও প্রতারণা প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবু সায়ীদ। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকীসহ আরো মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে কাইতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান (রাডু) মিয়ার ছেলে আবু হানিফ যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় তার বিভিন্ন প্রমাণাদি পেশ করা হয়। নবীনগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে দেয়া অভিযোগসূত্রে জানা যায়- আবদুর রহমান (রাডু) মিয়ার ছেলে আবু হানিফ কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিকালীন তার জন্ম তারিখ ১৯৭৪ সালের ১০ই মার্চ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয় কাইতলা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত আবদুর মিয়ার ছেলে মৃত মো: হানিফ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করা কালীন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আবু হানিফের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান কাইতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আবদুর রহমান (রাডু) মিয়ার ছেলে আবু হানিফকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এরপর থেকে আবু হানিফ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মৃত মো: হানিফের এফএফ নং ৪৫৬ ও কল্যাণ ট্রাস্ট নং ৩৩১১২ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধের সকল ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। এব্যাপারে ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর মো. হানিফের স্ত্রী আবু হানিফের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহআলম সরকার তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পান এবং আবু হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর থেকে আবু হানিফ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মৃত মো: হানিফের এফএফ নং ৪৫৬ ও কল্যাণ ট্রাস্ট নং ৩৩১১২ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধের সকল ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। এব্যাপারে ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর মো. হানিফের স্ত্রী আবু হানিফের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহআলম সরকার তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পান এবং আবু হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।