দেশ বিদেশ
ময়মনসিংহে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করায় নিহতের ২ ছেলেকে মারধর
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
১৮ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মতিউর রহমান (৫৫) নামে এক রোগীর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করায় নিহতের দুই কিশোর ছেলেকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় এখনও মৃতব্যক্তির লাশ মর্গে পড়ে রয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (অপারেশন) শাকির আহম্মেদ। তিনি বলেন, নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাসিন্দা মতিউর রহমান ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়ায় আত্মীয়’র বাসায় শুক্রবার রাতে স্ট্রোক করেন। রাত ১২টার দিকে তাকে তার সন্তানরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ইন্টার্নি চিকিৎসক তাহসিন জোবায়ের তাকে রাতে শরীরে শুধু স্যালাইন পুশ করেন। বারবার চিকিৎসকদের তাগদা দিলেও কোন চিকিৎসক রোগীর সেবায় এগিয়ে আসেনি। সকাল ৬টার দিকে মতিউর রহমান মারা গেছে বলে চিকিৎসক তাদের সন্তানদের জানান। এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে মনোয়ার হোসেন এবং একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত সারোয়ার হোসেন ওই চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেয়। এরপরই চিকিৎসকরা তাদের আটকে রেখে মারধর করে এবং পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের বাবার লাশ হাসপাতালে আটকে রাখে। পরে ঢাকা থেকে আসা তাদের বড় ভাই কাউসার জামিল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহম্মেদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে বাবার লাশ ফেরত নিতে চাইলেও লাশ দেয়া হয়নি। দুপুরে দুই ভাই মনোয়ার হোসেন এবং সারোয়ার হোসেনকে প্রথমে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টার ও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় নেয়া হয়। এদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এদের বয়স কম হওয়ায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ শনিবার বিকালে কোতোয়ালি থানায় এবিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে এবং এই দুই কিশোরকে সমাজকল্যাণ অফিসারের জিম্মায় দেয়।
এবিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহম্মেদ এবং উপ-পরিচালক চিকিৎসক লক্ষী নারায়ণের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই শিশুকে ছেড়ে দিতে চাইলেও ইন্টার্নি চিকিৎসকদের আন্দোলনের হুমকিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল মর্গে আটকে রাখে লাশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গেই ছিল।
এবিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহম্মেদ এবং উপ-পরিচালক চিকিৎসক লক্ষী নারায়ণের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই শিশুকে ছেড়ে দিতে চাইলেও ইন্টার্নি চিকিৎসকদের আন্দোলনের হুমকিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল মর্গে আটকে রাখে লাশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গেই ছিল।