দেশ বিদেশ
জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা কাল মন্ত্রিসভায় উঠছে
বিশেষ প্রতিনিধি
১৮ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আসছে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা। খসড়া তৈরি, আন্তঃ মন্ত্রণালয় বৈঠক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে যাচাই বাছাইয়ের পর নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললেই জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির খসড়া তৈরি করে জমা দেয়। ওই খসড়া নীতিমালা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১০ সালের ২৭শে জুন প্রথম রিপোর্ট ও ২০১১ সালের ২৪শে নভেম্বর দ্বিতীয় রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করে। ওই সময় খসড়া প্রতিরক্ষা নীতিমালায় সংসদীয় কমিটির সভাপতিসহ সাতজন তাদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে ওই সংসদের বিরোধী দল বিএনপি’র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, জাতীয় পার্টির (এ) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ লিখিতভাবে তাদের সুপারিশ দেন। এর আগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে খসড়া তৈরি করা হয়। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রতিরক্ষা নীতিমালার আকার আরো ছোট ও সংক্ষেপ করার ওপর গুরুত্ব দেন। এর ভিত্তিতে নীতিমালাটি ছোট করা হয়। নীতিমালায় বহিঃশত্রুর নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়া নীতিমালায় দেশের সংহতি, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল মূল্যবোধ বিনাশীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষার পটভূমিতে এই হুমকিগুলো যথাসম্ভব চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করার দিকনির্দেশনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে একাধিকবার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে অবশেষে নীতিমালায় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য উঠবে।
এদিকে একাধিকবার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে অবশেষে নীতিমালায় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য উঠবে।