এক্সক্লুসিভ
মেয়েকে খুঁজছেন এ্যানি
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
‘আমার বাচ্চাকে দাও। আমার বাচ্চা কোথায়?’ আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এমনই প্রশ্ন করছেন নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত আলমুন নাহার অ্যানি। অ্যানির কাছে কোনো স্বজনরা গেলেই শুধু বাচ্চা ও স্বামী ফারুক হাসান প্রিয়কের কথা জিজ্ঞাসা করেন। স্বজনদের যিনি আহতদের উদ্ধারে নেপালে গিয়েছিলেন এমন একজন এজাজ আহমেদ মিলন বলেন, ‘অ্যানি বারবার জানতে যাচ্ছেন তার বাচ্চা কোথায়। আমার বাচ্চাকে দাও।’ অ্যানি এখনও জানে না তার স্বামী ফারুক ও মেয়ে বেঁচে নেই। তাকে বলা হয়েছে তারা একটু বেশি অসুস্থ, তাদেরকে সিঙ্গাপুর নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবী আলমুন নাহার অ্যানি ট্রমায় ভুগছেন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনায় মেহেদীর ফুফাতো ভাই ফারুক হাসান (৩২) নিহত হন। আহত হন স্ত্রী অ্যানি (২৫)। তাদের তিন বছর বয়সী একমাত্র সন্তান তামাররা প্রিয়ন্ময়ী ওই দুর্ঘটনায় মারা যায়। শুক্রবার দেবর মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণার সঙ্গে দেশে ফিরছেন অ্যানি। তবে এখনও তাকে জানানো হয়নি তার স্বামী ফারুক ও মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী আর নেই। বার্ন ইউনিটের ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অ্যানির ডান পায়ে ফ্র্যাকচার আছে, সঙ্গে ইনজুরিও আছে। স্বর্ণায় শরীরের বামদিকে ব্যথা আছে, ইনজুরি আছে এবং শ্বাসনালীতে বার্ন আছে।