বিশ্বজমিন

প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে

বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম ভেঙেছে কে!

মানবজমিন ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। টগবগিয়ে ফুটছিল যেন। দু’গ্রুপ খেলোয়ারের মধ্যে উত্তেজনাকর বাক্য বিনিময় হচ্ছিল। শেষ ওভারে আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন উত্তেজনা। এক পর্যায়ে খেলা বন্ধ করে দেন বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান। তিনি ক্রিজে থাকা দু’ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ ও ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান রুবেল হাসানকেম খেলা ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ডাকেন। উত্তেজনাকর এ সময়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের কাঁচের দরজা ভেঙে দেয়া হয়। কে বা কারা এটা করেছে তা কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না। তবে ক্রিকইনফোর মতে বাংলাদেশ টিমের ভিতরকার কেউ একজন এটা করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস লিখেছে, এর ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসান যখন মাথা গরম করেছেন তখনও মাঠা ঠান্ডা সিনিয়র ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহর। উত্তেজনাকর মুহূর্তে তিনি মেজাজকে ধরে রেখেছিলেন এবং তিনিই শেষ পর্যন্ত জয়ী করেছেন দলকে। খেলার পেনাল্টি টাইমে অর্থাৎ অন্তিম মুহূর্তে ছয় বল যেন ভাগ্য নির্ধারণী হয়ে দাঁড়ায়। সেই খেলায় মাহমুদুল্লাহ ‘কুল ব্রেনে’ বল সীমানার বাইরে উড়িয়ে দিয়ে বিজয় কেড়ে নেন। আর তার ফলেই রোববার তিনি ভারতের মুখোমুখি ফাইনালে দাঁড় করিয়ে দিলেন টাইগারদের। বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা যখন বিজয় উদযাপন করছিলেন থকনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল। পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে হয় আম্পায়ারদের। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাউন্ডারির বাইরে। আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে ভাংচুর করা হয়। ক্রিকইনফো বলেছে, খেলোয়াড়রা যখন ড্রেসিং রুম থেকে দৌড়ে মাঠে ছুটে যান তখন তাদের পিছনে পড়ে থাকতে দেখা যায় ভাঙা গ্লাস। ওদিকে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের একজন ক্যাটারিং স্টাফ এক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড়ের নাম বলেছেন। তাদের মতে, ওই খেলোয়াড়ই এই ভাঙচুরের জন্য দায়ী। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রোডের সঙ্গে আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়। এক্ষেত্রে দায়ী কে তা জানার জন্য আম্পায়াররা ম্যাচ ফুটেজ দেখবেন বলে বলা হচ্ছে।
শেষ ওভারে বিশৃংখলা


ম্যাচের শেষ ওভার। বাংলাদেশের একজন রিজার্ভ খেলোয়াড় পানীয় নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছেন। তাকে ধাক্কা দেন শ্রীলঙ্কান একজন খেলোয়াড়। ওদিকে একটি নো-বল দাবি করে বসেন মাহমুদুল্লাহ। কারণ, শ্রীলঙ্কার ছোড়া কমপক্ষে দুটি বল বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়। তিনি এ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এ সময়ই স্কিপার শাকিবকে দেখা যায় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। তার মেজাজ বিগড়ে গেছে। তিনি মাহমুদুল্লাহ ও রুবেল হাসানকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। তখনও চারটি বল বাকি শেষ ওভারের। শাকিবের এমন আচরণে সচকিত হয়ে পড়েন সবাই। পরে অবশ্য শাকিব স্বীকার করেছেন শেষ ওভারের ওই সময়ে তার শান্ত থাকা উচিত ছিল। তিনি মাথা ঠা-া রাখতে পারেন নি। বলেন, ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন তিনি। শাকিব বলেছেন, অনেক কিছুই ঘটে গেছে, যা ঘটা উচিত ছিল না। আমার মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার ছিল। আমি বেশি আনন্দ প্রকাশ করেছি। ওই জয়ে এক্সাইটমেন্ট ছিল। আমাকে অবশ্যই জানতে হবে, এরপর কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে। আমি সতর্ক থাকবো। তিনি আরো বলেন, মাঠের ভিতরে যা ঘটেছে তা এর বাইরে ছড়িয়ে পড়া উচিত নয় কখনো। সততার সঙ্গে বলছি, আমরা (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) তো বন্ধু। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগৈ আমরা একে অন্যের মুখোমুখি হই। দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক। আমরা একে অন্যকে প্রচুর সহায়তা করি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status