বাংলারজমিন
জাবির রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, টিটুর বিরুদ্ধে জিডি
জাবি প্রতিনিধি
১৭ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর মেহেদী হাসান টিটুর বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জাবির ওই অনুষ্ঠানে আহ্বায়কের দায়িত্বে থেকে তিনি এমন প্রতারণা করেছেন। এদিকে আত্মসাতের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলায় তার বন্ধুকে হত্যার হুমকি দেন। এই অভিযোগে তার নামে থানায় ডিজি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে জাবি সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওই অনুষ্ঠানের কমিটিতে থাকা অন্য সদস্যরা। লিখিত বক্তব্যে অনুষ্ঠানটির যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন হিমেল বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন টিটু এবং বিজ্ঞাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাইফ উদ্দিন আহম্মেদ। তারা দুজন কৌশলে অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ের ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত হিসাবে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় ও ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়। সে হিসেবে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ঘাটতি থাকে।
তিনি বলেন, টিটু অনুষ্ঠানের সব টাকা পরিশোধ করার কথা বললেও বাস্তবে সে দোকানের কোন টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে অনুষ্ঠান শেষে ১০ লাখ ২৬ হাজার টাকা অপরিশোধিত থাকে যা টিটু ও সাইফ আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু আয়-ব্যয়ের জন্য সম্মিলিতভাবে ড্যাচ বাংলা ব্যাংকের হিসেবে টাকা জমার কথা থাকলেও তারা দুজন কাউকে না জানিয়ে এক্সিম ব্যাংকে হিসাব (নং-০১৯১৩১০০৩৩৩৭৬৭) খুলে গোপনে আয়ের সকল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত চাওয়ায় শুভ নামের এক বন্ধুকে সে হত্যার হুমকি দিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকিতে শুভ উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের এক বন্ধুর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ২১তম ব্যাচের প্রায় ২৫ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, ‘আমি একটি টাকাও নেইনি। সব টাকা টিটু খরচ করেছে। সে টাকার বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। আপনি ও টিটু আলাদা হিসাব খুলে গোপনে আয়-ব্যয় করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টিটু আহ্বায়ক থাকায় তার ইচ্ছায় সব কাজ হয়েছে।’
এ বিষয়ে মীর মেহেদী হাসান টিটুর ব্যক্তিগত ২টি মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তিনি বলেন, টিটু অনুষ্ঠানের সব টাকা পরিশোধ করার কথা বললেও বাস্তবে সে দোকানের কোন টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে অনুষ্ঠান শেষে ১০ লাখ ২৬ হাজার টাকা অপরিশোধিত থাকে যা টিটু ও সাইফ আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু আয়-ব্যয়ের জন্য সম্মিলিতভাবে ড্যাচ বাংলা ব্যাংকের হিসেবে টাকা জমার কথা থাকলেও তারা দুজন কাউকে না জানিয়ে এক্সিম ব্যাংকে হিসাব (নং-০১৯১৩১০০৩৩৩৭৬৭) খুলে গোপনে আয়ের সকল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত চাওয়ায় শুভ নামের এক বন্ধুকে সে হত্যার হুমকি দিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকিতে শুভ উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের এক বন্ধুর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ২১তম ব্যাচের প্রায় ২৫ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, ‘আমি একটি টাকাও নেইনি। সব টাকা টিটু খরচ করেছে। সে টাকার বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। আপনি ও টিটু আলাদা হিসাব খুলে গোপনে আয়-ব্যয় করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টিটু আহ্বায়ক থাকায় তার ইচ্ছায় সব কাজ হয়েছে।’
এ বিষয়ে মীর মেহেদী হাসান টিটুর ব্যক্তিগত ২টি মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।