এক্সক্লুসিভ
পালিয়ে বিয়ে করতে এসে গণধর্ষিত কলেজছাত্রী
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
১৬ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে পালিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলো এক কলেজপড়ুয়া ছাত্রী। বুধবার রাত সোয়া ৮টায় প্রেমিকের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে বখাটেদের খপ্পরে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয় সে। এ সময় তাকে ৮/৯ যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গভীর রাতে পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাঁঠালবাড়ির হরিশ্বর কালেয়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৪), হৃদয় হাসান সুমন (১৮) ও তারপদ (২০) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও নির্যাতিতা জানান, তার প্রেমিক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটোচালক রহমান আলীর পুত্র কামরুল ইসলামের (২২) সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক সারা দিন কলেজ করার পর সে বিকালে মেলায় সময় কাটিয়ে প্রেমিকের কথামতো রাত সোয়া ৮টার দিকে সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেয়। প্রেমিক কামরুলের কুড়িগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসে চড়ে তার কাছে আসার কথা ছিল। মেয়েটিকে সেখানে ব্যাগসহ একাই অবস্থান করতে দেখে পূর্ব থেকে অনুসরণ করা তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ যুবক ফিল্মি স্টাইলে জোর করে তুলে নেয়। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর ধর্ষকরা মোবাইলে তাদের বন্ধু স্বপন, পলাশ, মুকুল, লাইজুসহ আরো ৮/৯ জনকে ডেকে আনে। ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেয়েটি। রাত ২টার দিকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়েটি কোনোরকমে রাস্তার পাশে এলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিত মেয়েটি শহরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী এবং তার বাড়ি একই ইউনিয়নের নিধিরাম গ্রামে। সে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। তবে মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পেয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-২২। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও নির্যাতিতা জানান, তার প্রেমিক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটোচালক রহমান আলীর পুত্র কামরুল ইসলামের (২২) সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক সারা দিন কলেজ করার পর সে বিকালে মেলায় সময় কাটিয়ে প্রেমিকের কথামতো রাত সোয়া ৮টার দিকে সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেয়। প্রেমিক কামরুলের কুড়িগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসে চড়ে তার কাছে আসার কথা ছিল। মেয়েটিকে সেখানে ব্যাগসহ একাই অবস্থান করতে দেখে পূর্ব থেকে অনুসরণ করা তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ যুবক ফিল্মি স্টাইলে জোর করে তুলে নেয়। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর ধর্ষকরা মোবাইলে তাদের বন্ধু স্বপন, পলাশ, মুকুল, লাইজুসহ আরো ৮/৯ জনকে ডেকে আনে। ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মেয়েটি। রাত ২টার দিকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়েটি কোনোরকমে রাস্তার পাশে এলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিত মেয়েটি শহরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী এবং তার বাড়ি একই ইউনিয়নের নিধিরাম গ্রামে। সে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। তবে মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পেয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-২২। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।