অনলাইন
ফের বাংলাদেশকে দোষারোপ, মাত্র ৩৭৪ রোহিঙ্গাকে নিতে সম্মত মিয়ানমার!
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
ফের বাংলাদেশকে দোষারোপ করে প্রত্যাবাসনের প্রথম তালিকার ৮ হাজার ৩২ জনের মধ্যে মাত্র ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে মিয়ানমার। বুধবার বিকালে নেপি’ডতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব (পারমানেন্ট সেক্রেটারী) মিন্ট থো তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের ফল জানান। ওই সংবাদ সম্মেলনের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়- সচিব মিন্ট থো বলেছেন, ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ৮ হাজার ৩২ জন শরনার্থীর একটি তালিকা আমাদের দিয়েছিল। সেই তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করেছেন। আমরা ওই তালিকার ৩৭৪ জনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। যাচাইকৃতরা হবেন প্রত্যবাসনের প্রথম ব্যাচ। তারা তাদের সুবিধামত সময়ে ফিরতে পারবেন। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় তালিকার বেশিরভাগ রোহিঙ্গাকে স্বীকৃতি না দেয়ার ব্যাখ্যায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব অতীদের মত বাংলাদেশের ঘাড়েই দোষ চাপান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এর ব্যাখ্যা দেন এভাবেÑ ‘বাকী বিপুল সংখ্যক শরনার্থী যে এখানে (মিয়ানমারে) আগে বসবাস করছিলেন সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারি নি। কারণ কিছু নথির সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ এবং ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ যুক্ত ছিল না। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দেশটির পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন তুনও সচিবের সঙ্গে সুর মিলান। বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় ‘চুক্তি অনুসারে তথ্যাদি (ডকুমেন্ট) সরবরাহ করেনি বাংলাদেশ।’ তুন এ-ও বলেন ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ যে তালিকা হস্তান্তর করেছে তার মধ্যে ৩ জনকে তারা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। উল্লেখ্য, প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রায়শই ‘অকারণে’ বাংলাদেশকে দোষারোপ করে আসছে মিয়ানমার কতৃপক্ষ। রয়টার্সের রিপোর্টে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের ফেরা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছেÑ এটি এখনও অস্পষ্ট মিয়ানমার যে ৩৭৪ জনকে ফিরিয়ে নিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা ফিরতে রাজী কি-না? বাংলাদেশের কর্মকর্তারা অবশ্য মিয়ানমারের এমন বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বরাবরের মত সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, তারা আদৌ তাদের বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নিতে চায় কি-না? তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে!