বাংলারজমিন
করিমগঞ্জে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী আটক
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৫ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
করিমগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেয়া আগুনে সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলেন গৃহবধূ মুক্তা আক্তার। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় বিকালে অভিযুক্ত স্বামী রফিক মিয়াকে আটক করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূ মুক্তা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বামুনকান্দি গ্রামের মৃত ছনু মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে গৃহবধূ মুক্তার স্বামী রফিক মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাটি গাংগাটিয়া গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। মাত্র আড়াই মাস আগে প্রেম করে মুক্তা ও রফিকের বিয়ে হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তা আক্তারের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে এতে তার মৃত্যু হয়।
পরিবার জানায়, কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া এলাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে গিয়ে মুক্তা ও রফিকের মধ্যে মনদেয়া নেয়া হয়। প্রায় এক বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। কিন্তু তাদের বিয়েতে বাধ সাধেন রফিকের বাবা ইব্রাহীম মিয়া। এ পরিস্থিতিতে আড়াই মাস আগে কিশোরগঞ্জে আদালতের মাধ্যমে দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর মুক্তাকে নিয়ে স্বামী রফিক পশ্চিম ভাটিগাংগাটিয়া গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই মুক্তার উপর নেমে আসে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তাকে দেড়লাখ টাকা এনে দেয়ার দাবি জানায়। মুক্তা নির্যাতন ও যৌতুকের বিষয়টি মাকে জানালে মা লুৎফুন্নেছা ধারদেনা করে প্রায় এক লাখ টাকার আসবাবপত্র স্বামী রফিককে যৌতুক হিসেবে দেন। এরপরও মুক্তার উপর নির্যাতন কমেনি। গত ৮ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় গৃহবধূ মুক্তা স্বামীর বাড়িতে রান্না ঘরে রান্না করছিলেন। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর জখম হয়। আগুনে মুক্তার মুখ, পিঠ, ঘাড়, পেট হাতসহ পুরো শরীর ঝলসে যায়। দগ্ধ মুক্তাকে চিকিৎসা না দেয়ায় ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিন দিন পর গত ১১ই মার্চ মুক্তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্রুত মুক্তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন ১২ই মার্চ মুক্তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলেও মুক্তার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচানো যাবে না বলে জানান। এরপর মুক্তাকে আবার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মুক্তার মৃত্যু হয়। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত স্বামী রফিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিবার জানায়, কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া এলাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে গিয়ে মুক্তা ও রফিকের মধ্যে মনদেয়া নেয়া হয়। প্রায় এক বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। কিন্তু তাদের বিয়েতে বাধ সাধেন রফিকের বাবা ইব্রাহীম মিয়া। এ পরিস্থিতিতে আড়াই মাস আগে কিশোরগঞ্জে আদালতের মাধ্যমে দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর মুক্তাকে নিয়ে স্বামী রফিক পশ্চিম ভাটিগাংগাটিয়া গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই মুক্তার উপর নেমে আসে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তাকে দেড়লাখ টাকা এনে দেয়ার দাবি জানায়। মুক্তা নির্যাতন ও যৌতুকের বিষয়টি মাকে জানালে মা লুৎফুন্নেছা ধারদেনা করে প্রায় এক লাখ টাকার আসবাবপত্র স্বামী রফিককে যৌতুক হিসেবে দেন। এরপরও মুক্তার উপর নির্যাতন কমেনি। গত ৮ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় গৃহবধূ মুক্তা স্বামীর বাড়িতে রান্না ঘরে রান্না করছিলেন। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর জখম হয়। আগুনে মুক্তার মুখ, পিঠ, ঘাড়, পেট হাতসহ পুরো শরীর ঝলসে যায়। দগ্ধ মুক্তাকে চিকিৎসা না দেয়ায় ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিন দিন পর গত ১১ই মার্চ মুক্তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্রুত মুক্তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন ১২ই মার্চ মুক্তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলেও মুক্তার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচানো যাবে না বলে জানান। এরপর মুক্তাকে আবার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মুক্তার মৃত্যু হয়। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত স্বামী রফিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।